Friday, March 30, 2018

নিজের ফেইসবুক কভার ফটো কিভাবে ডিজাইন করা যায় অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে।এসো ডিজাইন শিখি

ফেইসবুক কভার ফটো ডিজাইন
ফেইসবুক কভার ফটো ডিজাইন 



হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন  আছেন,আশা করি ভাল।

আজ আমি সোসাইল মেডিয়ার জনপ্রিয় ফেইসবুক নিয়ে কথা বলবো।নিজের ফেইসবুক কভার ইমেজ কিভাবে ডিজাইন করা যায় অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে তা  নিয়ে আলোচনা করবো।

এটি আমার ফেইসবুক কভার ফটো ডিজাইন নিয়ে দ্বিতীয় টিউটোরিয়াল।তাই যা আগের আরটিক্যালটি পড়েননি তারা দয়া করে পড়ে নিবেন।আমি নিচে লিংক টা দিয়ে দিচ্ছি।

কিভাবে নিজের ফেইসবুকের কভার ফটো বা টাইমলাইন কে প্রোফেশনাল লোক দিবেন অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে।এসো ডিজাইন শিখি


 অনেক বন্দুরা আছেন যারা ফেইসবুক টাইমলাইন অথবা ফেইসবুক কভার ফটো বলে থাকেন।মূলত দুইটি একিই বিষয়।
মূলত যারা প্রফেশনাল ফেইসবুক কভার ইমেজ দ্বারা  নিজেকে প্রফেশনাল বা নিজের প্রতিস্টান  কে ভাল  ভাবে সোসাইল মেডিয়া  রিপ্রেজেন্ট  বা প্রোমট করতে চান।তাদের জন্য একটি ভাল ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন  ডিজাইন খুবই দরকার।


ফেইসবুক কি?

এই আধুনিক সমাজে বিশ্বের এই প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সহজে যোগাযোগ করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফেইসবুক।যা আমাদের কে এই আধুনিক সভ্যতায় অভসর সময় কাটানু,বিনদন,কমিউনিকেশন ব্যবস্থা ইত্যাদি সহজ করে দিয়েছে ফেইসবুক।
বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুক। এটি আমাদের বিনোদনের মাধ্যমও বটে।


ফেইসবুক কভার ফটো কি?

ফেসবুক প্রোফাইলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে ফেইসবকের কভার ফটো। কভার ফটোটির বিস্তৃতি ফেইসবুকের উপরের সম্পূর্ণ জায়গা জুড়ে। ব্যবহারকারী তার  প্রোফাইলের ছবির পিছনে বিস্তৃতি সম্পূর্ণ জায়গা জুড়ে যে জায়গা টি আছে তাকে ফেইসবুক কভার ফটো বা টাইমলাইন বলে।

কেন ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন দরকার?

মূলত যারা সোসাইল মিডিয়াতে নিজেকে ভাল ভাবে রিপ্রেসেন্ট করতে চান অথবা যারা  ফেইসবুক কভার ফটো দ্বারা  নিজেকে প্রফেশনাল(অন্যের চেয়ে একটু আলাদা দেখতে চান)  বা নিজের প্রতিস্টান কে ভাল  ভাবে সোসাইল মেডিয়ায়  প্রেজেন্ট করতে চান তাদের জন্য ফেইসবক কভার ফটো খুবিই গুরুত্বপূর্ন।আজকাল প্রায় সবাই  ফেইসবুক আকাউন্ট আছে এবং সবাই এই ভার্চোয়াল জগতে আকটিভ থাকার জন্য তাদের  ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন ভাল ভাবে উপস্থাপন করে থাকেন।তাই  ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন ডিজাইন খুবই প্রয়োজন।



ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন সাইজ কত?

ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন সাইজ সাইজ  ৮৫১*৩১৫ পিক্সেল,300 রেজুলেশন,CMYK mode,


ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন ডিজাইন-

প্রথমে একটি নতুন ডুকমেন্ট ওপেন করি (ctrl+n) এবং যাতে ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইনের সাইজ  ৮৫১*৩১৫ পিক্সেল,৭২ রেজুলেশন,RGB mode, দিতে হবে।তারপর নিচের ছবিটির মত ওয়ার্কস্পেস আসবে।





তারপর নিচের কেনভাস টা কে দুই ভাগ করে এক ভাগে এক কালার ও অন্য ভাগে অন্য কালার দিয়ে দুইটি সেইপ তৈরি করতে হবে।এটা দুই ভাবে করা যায়, ১/ দুইটি লেয়ার নিয়ে এই কাজটি করা যায়,২/ দুইটি রেকটেংগেল টুল দিয়ে করা যায়।আপনারা কালার আপনাদের মত করে দিয়ে নিবেন।




তারপর রেকট্যাংগেল টুল দিয়ে ৩টি লম্বা সেইপ নিতে হবে এবং সব গুলোকে এক টার উপর একটা রেখতে হবে।এবং ৩টি সেইপ কে ২৫ ডিগ্রী অ্যাঙ্গেলে রাখতে হবে।




তারপর ডান পাশের সেইপের উপর একটি ছবি কে ক্লিপিং মাস্ক করে নিতে হবে।ক্লিপিং মাস্ক কিভাবে করবেন?
যেই সেইপের উপর ক্লিপিং মাস্ক ।সেই সেইপের উপর একটি ছবি রেখে,সেইপ ও ছবি দুইটা কে সেলেক্ট করে মাউসের রাইট বাটনে ক্লিক করে ক্লিপিং মাস্ক করতে হয়।





তারপর,নিচের ছবিটির মত করে একটি সেইপ নিতে হবে।




সেইপটির উপর নিজের নাম এবং একটি টাইটেল দিতে হবে।নিচের ছবি টি লক্ষ্য করুন।এবং বাম পাশে ফেইসবুকের প্রোফাইল পিকচারের জন্য একটি ৩০০*৩০০ পিক্সেলের একটি সেইপ নিয়ে তাতে একটি ছবিকে ক্লিপিং মাস্ক করে নিতে হবে।





তারপর,আপনি নিজের ফেইসবুক কে প্রোমট করতে হলে আপনাকে কিছু সাব টাইটেল লিখতে হবে।কন্টাক্ট ইনফর্মেশন দিতে হবে।নিচের ছবিটি একবার লক্ষ্য করুন।




শর্বশেষ আপনি যখন দিজাইনটি কোমপ্লিট করবেন।তারপর ফেইসবুকে যখন ডিজাইন টি আপলোড করবেন তখন আপনার ফেইসবুকের কভার ফটো টি দেখতে নিচের পিকচার টির মত দেখাবে।






এভাবে ই ফেইসবুক কভার ফটো  ডিজাইন করা হয়।যারা এই ফেইসবুক কভার ফটো  ডিজাইন এর মত ডিজাইন করতে চান তারা উপরের সব গুলো নিয়ম ফলো করতে পারেন।

অথবা আমার এই কাজটির একটি টিউটোরিয়াল আছে আপনারা ফেইসবুক কভার ফটো  ডিজাইন টিউটোরিয়াল টি দেখলে আরো সহজে এই ডিজাইন টি করতে পারবেন,আমি আশা করি।

নিচে আমি ফেইসবুক কভার ফটো  ডিজাইন ডিজাইন টিউটোরিয়াল ভিডিও লিংক দিয়ে দিচ্ছি-




আশা করি আপনারা ফেইসবুক কভার ফটো  ডিজাইন কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। ভুল হলে কমেন্ট করে জানাবেন। কারন আমি নিজে এখন ও শিখি ভুল গুলো ধরে দিলে আমার জন্য খুব ভাল হবে। এবং বেশি খারাপ লাগলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।

ভাল থাকবেন। দোয়া করবেন যেন সামনে আরো ভাল ভাল বিষয় আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে পারি।

Wednesday, March 28, 2018

কিভাবে ফ্রিল্যান্সারে ( freelancer.com ) এক্যাউন্ট করতে হয় এবং কন্টেস্টে বা বিট করে কাজ করতে হয়।( পার্ট-১ )





আমি এর আগে কিভাবে আউটসোর্সিং করতে হয় তা নিয়ে আগে একটি আরটিক্যাল লিখেছিলাম।আপনারা যারা মিস করছেন তারা একটু পড়ে নিবেন তাহলে আজকের আরটিক্যাল টা বুঝা সহজ হবে।

ফ্রিল্যান্সিং কি? কিভাবে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করা যায়।
আউটসোর্সিং কি? কিভাবে আউটসোর্সিং করতে হয়? কিভাবে আউটসোর্সিং করে আপনি আয় করবেন?


যেহেতু,আউটসোর্সিং ইন্টারনেটের মাধ্যমে করতে হয়।তাই অনলাইনে ভিবিন্ন মার্কেট প্লেস রয়েছে,যেমন freelancer.com,odesk.com,99designs.com,upwork.com।এই মার্কেট প্লেস গুলোতে ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে ইনকাম করে থাকেন।পাশাপাশি ক্লাইন্ট যারা কাজ করানোর দরকার তারা কাজ দিয়ে থাকেন।


আজ আমি একটি মার্কেট প্লেসের সম্পর্কে আলোচনা করবো তা হল freelancer.com।আনেক জনপ্রিয় একটি মার্কেট প্লেস।এখানে সহজে ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে আয় করে থাকেন।

তাহলে চলো আমরা দেখি কিভাবে ফ্রিল্যান্সারে ডট কম ( freelancer.com ) আকাউন্ট করতে হয়?

প্রথমে freelancer.com লিখে গুগলে সার্চ করতে হবে।




এই রকম একটি পেজ আসবে,যাতে freelancer.com এর লোগো থাকবে।ডান পাশে Log In Sign Up
লেখা থাকবে। বাম পাশে নিচের দিকে দুইটি বক্সের মধ্যে I want to Hire এবং I want to Work ।
আমরা যেহেতু ফ্রিল্যান্সার কাজ করবো তাই I want to Work ক্লিক করবো বা উপরের Sign Up ক্লিক করবেন।





নিচের বক্সের মত একটি বক্স আসবে।যাতে দুই ভাবে এক্যাউন্ট টি Sign Up করা যায়।আপনার যদি ফেইসবুক একাউন্ট থাকে তাহলে ফেইসবুকের মাধ্যমে একাউন্ট করা যাবে।প্রথমে লক্ষ্য করুন ফেইসবুকের
সিম্বল সহকারে Sign Up with Facebook এ ক্লিক করলেই আপনার এক্যাউন্ট হয়ে যাবে আর যারা ইমেইল দিয়ে এক্যাউন্ট করতে চান তারা নিচে বক্সের অপশন গুলো পুরুন করে নিচে দেখবেন Hire & Work দুইটি অপশন থাকবে।আপনারা Work ক্লিক করে  Create Account  ক্লিক করবেন।









উপরের কাজ গুলো সম্পুর্ন হয়ে গেলে নিচে ছবিটির মত একটি পেজ আসবে।




এখান থেকে আপনি কোন ধরনের কাজ করতে চান।তার একটি লিস্ট।ধরুন আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনার তাহলে আপনি ডিজাইন রিলেটেড অপশনে ক্লিক করবেন।অথবা আপনি যে কাজ করার জন্য এই মার্কেট প্লেসে আসছেন।সেই রিলেটেড অপশনে ক্লিক করবেন।




আমি ডিজাইন রিলেটেড অপশনে ক্লিক করার কারনে মাঝ খানে আরো আনেক অপশন চলে আসছে।এই অপশন গুলো হচ্ছে ডিজাইনে আপনি কোন কোন কাজ গুলো পারেন তার লিস্ট।আপনি যে কাজ করতে পারেন সেই অপশন গুলো ক্লিক করে দিবেন।

আমি এখানে আমার মত করে অপশন সিলেক্ট করেছি।আপনারা আপনাদের মত করে সিল্কট করে নিবেন।এখানে মূলত আপনি যে কাজ গুলো পারেন।তারপর,




আখানে,নিচে তিনটি অপশন থাকবে।BEGINNER, INTERMEDIATE, ADVANCED আপনি যদি নতুন হন তাহলে BEGINNER আপশনে ক্লিক।আর যদি আপনি মিডলেভেলের হন বা অভিজ্ঞ হন তাহলে INTERMEDIATE, ADVANCED দিতে পারেন।



তারপর,উপরের ছবিটি মত একটি পেইজ আসবে।এটি হছে আপনি যখন টাকা আয় করবেন।তখন টাকা কিভাবে উঠাবেন  তার পেইমেন্ট অপশন।আমি তা নিয়ে আরেকটি আরটিক্যাল লিখব।



তারপর উপরের ছবিটির মত আরেকটি পেইজ আসবে ।তা নতুন দের দরকার নেয়।নিচে স্কিপ অপশন থাকবে তাতে ক্লিক করে পরের পেইজে চলে যাবেন।




মোটামোটি আপনার এক্যাউন্ট করা শেশ।এখন শুধু ইমেইল ভেরিফিকেশন করে নিবেন।আপনি যে ইমেইল টি দিয়ে এক্যাউন্টি করেছেন।সেই ইমেইলে আপনাকে ভেরিফিকেশন মেইল পাঠানো হবে।আমি নিচে একটি ছবি দিয়ে দিচ্ছে।




ইমেইল থেকে ভেরিফিকেশন করে নিবেন।

তাহলে আপনার কাজ শেষ।আপনি এখন freelancer.com মার্কেট প্লেসে কাজ করতে পারেন।
আমি পরবর্তি আরটক্যালে কিভাবে freelancer.com কাজ করতে হয় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।


আশা করি আপনারা কিভাবে ফ্রিল্যান্সারে ( freelancer.com ) এক্যাউন্ট করতে হয় কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। ভুল হলে কমেন্ট করে জানাবেন। কারন আমি নিজে এখন ও শিখি ভুল গুলো ধরে দিলে আমার জন্য খুব ভাল হবে। এবং বেশি খারাপ লাগলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।

ভাল থাকবেন। দোয়া করবেন যেন সামনে আরো ভাল ভাল বিষয় আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে পারি।

Tuesday, March 27, 2018

আউটসোর্সিং কি? কিভাবে আউটসোর্সিং করতে হয়? কিভাবে আউটসোর্সিং করে আপনি আয় করবেন?।আসো ডিজাইন শিখি





হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন  আছেন,আশা করি ভাল।

আজ আমি আউটসোর্সিং কি? তা নিয়ে আলোচনা করবো । কিভাবে আউটসোর্সিং করতে হয়? কিভাবে আউটসোর্সিং করে আপনি আয় করবেন? তা নিয়েও আলোচনা করবো।

আউটসোর্সিং কি?


স্বাধীন বা মুক্ত পেশার নাম হচ্ছে আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং।অর্থাৎ স্বাধীন বা মুক্ত ভাবে বা অন্যের চাপ ছাড়া স্বাধীন ভাবে কাজ করে আয় করার নাম হচ্ছে আউটসোর্সিং।আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে বলা যায় যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভিবিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভিবিন্ন কাজ করিয়ে নেয়ার নাম হচ্ছে আউটসোর্সিং। আর যারা এই আউটসোর্সিং এর কাজ করে থাকে তাদের কে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার।


কিভাবে আউটসোর্সিং করতে হয়?

যেহেতু,আউটসোর্সিং ইন্টারনেটের মাধ্যমে করতে হয়।তাই অনলাইনে ভিবিন্ন মার্কেট প্লেস রয়েছে। যেখানে ভিবিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজন অনুযায় ভিবিন্ন কাজ এই সব মার্কেট প্লেসে দিয়ে থাকে। আর এই কাজ গুলো ফ্রিল্যান্সাররা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম বা শর্ত অনুযায়ী করে দিয়ে আয় করে থাকেন।


ফ্রিল্যান্সারের কাজ গুলো কি?

যেহেতু,আউটসোর্সিং ইন্টারনেটের মাধ্যমে করতে হয়।তাই ভিবিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।এই অনলাইন মার্কেট প্লেসে কাজ গুলো ভিবিন্ন ভাগে ভাগ করা থাকে।যেমন...

  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট,
  • সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট,
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন,
  • SCO
  • নেটওয়ার্কিং ও তথ্যব্যবস্থা (ইনফরমেশন সিস্টেম),
  • লেখা ও অনুবাদ,
  • প্রশাসনিক সহায়তা,
  • ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া,
  • গ্রাহকসেবা (Customer Service),
  • বিক্রয় ও বিপণন,
  • ব্যবসাসেবা ইত্যাদি। 
আর এই সকল কাগ গুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে প্রতিষ্ঠান কাজ গুলো আপনাকে দিবে তা করে দিতে পারলেই অনলাইনে আয় করা সম্ভব।



কিভাবে আপনি অনলাইন মার্কেট প্লেস থেকে আয় করতে পারবেন?


 

আপনাকে অনলাইন মার্কেট প্লেসে কাজ করতে হলে অবশ্যই কোন আকোটি কাজের উপর অভিজ্ঞ হতে হবে।এমনকি ভাল কাজ জানতে হবে। কারন এই অনলাইন মার্কেট প্লেস গুলোতে শুধু আপনি একা কাজ করবেন না,আপনার সাথে আপনার মত,আপনার চেয়ে ভাল,ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে থাকে। ভাল কাজ জানা না থাকলে আপনি আউটসোর্সিং সফল হতে পারবেন না। ভাল কাজের দক্ষতা থাকলেই কেবল আউটসোর্সিং জগতে ভাল আয় করা সম্ভব।

এখন আপনি ভাবুন আপনি কোন ধরনের কাজে দক্ষ এবং নিজে কে খুব আত্তবিস্বাশী মনে হয়।উপরে আনেক গুলো কাজের নাম আমি দিয়েছি আপনি মিলিয়ে দেখুন কোন টি আপনার সাথে যায়।


উপরের ছবিটি লক্ষ্য করুন,ছয় ধরনের বিষয়ের উপর অউটসোর্সিং নির্ভর করে।

Knowledge (জানতে হবে)
Expertise (অভিজ্ঞতা থাকতে হবে)
Scalability (কর্মক্ষমতা প্রসারণ)
Patience (অধিক ধর্য্য)
Skilled Service (দক্ষ্য পরিষেবা)
Better Quality (ভালো মানের)

এই ৬টি গুন থাকেই কেবল আউটসোর্সিং করে আপনি আয় করতে পারবেন।



Monday, March 26, 2018

ফ্রিল্যান্সিং কি? কিভাবে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করা যায়।এসো ডিজাইন শিখি


হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন  আছেন,আশা করি ভাল।



ফ্রিল্যান্সিং ইতিহাস কি?


সর্ব প্রথম ১৯৯৮ সালের দিকে ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করে ।তখন তারা অনলাইনে একটা মার্কেটপ্লেস খোলে,মার্কেটপ্লেসে সবাই যে কোন সময় কাজ করতে পারবে,যেখানে সবাই কাজ পাবার জন্য জব অফার করতে পারবে,

সেখান থেকেই বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু। বিষয় টা বেশ মজাদার ছিল। ধরাবাধা কোন অফিস টাইম নেই,কোন বসের চাপ নাই, যখন ইচ্ছে কাজ করলেই হলো! এই কাজ হতে পারে বিভিন্ন রকম। 


ওয়েব ডিজাইনিং থেকে শুরু করে গ্রাফিক ডিজাইনিং,সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, বিষয়ভিত্তিক আর্টিকেল লেখা বা ডাটা এন্ট্রি হতে পারে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিষয়।

ফ্রিল্যান্সিং কি?


সহজ ভাবে বলা যায় যে নির্দিস্ট কোন প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ না করে স্বাধীনভাবে যে কোন কাজ করা কে ফ্রিল্যান্সিং বলে।

আর এই ধরনের কাজে যারা নিয়জিত তাদের কে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার (freelencer) বা স্বাধিনপেশাজীবি।


ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে,কখন,কোথায় করবো?


যারা ফ্রিল্যান্সিং এ নতুন কাজ করতে চান এবং  যারা ফ্রিলেন্সিং এ একেবারে নতুন, তাদের মনে আনেক ধরনের প্রশ্ন আস্তে পারে কিভাবে কাজ করবো,কে কাজ দিবে,কোথায় কাজ গুলো পাবো,কাজ কিবাভে করতে হবে এই রকম হাজারো প্রশ্ন মনে  গুর পাক খায়।
তাই নতুন ফ্রিলেন্সারদের জন্য বলছি এই সব গুলো প্রশ্নের উত্তর আমি আপনাদের কে দিব।আপনারা কিভাবে কাজ করবেন,কোথায় করবেন,কখন করবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করবেন?

আপনি যখন নতুন তাই বলছি আগে  ফ্রিল্যান্সিং কি তা আগে জানতে হবে ।নির্দিস্ট কোন প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ না করে স্বাধীনভাবে যে কোন কাজ করা কে ফ্রিল্যান্সিং বলে।তবে সর্ব প্রথম আপনাকে কোন একটি কাজের উপর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
তারপর,যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং অনলাইন ভিত্তিক কাজ তাই যে প্রতিষ্ঠান গুলো যারা অনলাইনের মাধ্যমে আপনাকে কাজের সুযোগ করে দিবে তাদের প্রতিষ্ঠানে আপনাকে একটি নিবন্ধন করতে হবে।যা আমরা ইংরেজিতে বলি Account or Sign Up.

ফ্রিল্যান্সিং কোথায় করবেন?

ভিবিন্ন ধরনের অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আছে যারা ফ্রিল্যান্সারদের কাজ প্রদান করে থাকে।এই রকম কিছু প্রতিষ্ঠান গুলো হল-
freelencer.com
upwork.com
99designs.com
graphicriver.com
elancer.com
odesk.com
আরো আনেক প্রতিষ্ঠান আছে যা কাজ করার সুযোগ করে দিয়ে থাকে।
এখানে দুই ধরনের প্রতিষ্ঠান আছে এবং দুই ধরনের আজ আছে।প্রথম বলি দুই ধরনের প্রতিষ্ঠান,এক দরনের প্রতিষ্ঠান যারা শুধু কাজ প্রদান করে থাকে আর অন্য প্রতিষ্ঠান যারা কাজ প্রদান করে না কাজ জমা রাখে ব্যাংকের মত।
দুই ধরনের কাজ,প্রথ হল একজন ক্লাইন্ট তার চাহিদা অনুযায়ী কন্টেষ্ট(প্রতিযোগিতা) আয়োজন করে আর অন্যটি হল একজন ক্লাইন্ট কাজ(জব) পোস্ট করে সেখান থেকে বিড এর মাধ্যমে ফ্রিল্যন্সার বাছাই করে।


ফ্রিল্যান্সিং কখন করবেন?

আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার,আপনি একজন স্বাধিন কর্মী,কার কাছের কাজের কোন কৈফত দিতে হয় না।আপনি নিজেই একজন একটি কোম্পানির মালিক ।যখন মন চায় তখন কাজ করবেন,মন না চায়লে করবেন না।এটাই হল ফ্রিল্যান্সারের মুল শক্তি।কোন ধরাবাধা নিয়ম নাই।যখন কাজ করতে ইচ্ছে কাজ করবেন।


আশা করি আপনারা ফ্রিল্যান্সিং কি? কিভাবে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করা যায় কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। ভুল হলে কমেন্ট করে জানাবেন। কারন আমি নিজে এখন ও শিখি ভুল গুলো ধরে দিলে আমার জন্য খুব ভাল হবে। এবং বেশি খারাপ লাগলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।

ভাল থাকবেন। দোয়া করবেন যেন সামনে আরো ভাল ভাল বিষয় আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে পারি।

Friday, March 23, 2018

কিভাবে একটি ছবি কে পেইন্টিং ইফেক্ট (আর্ট) বা ডিজিটাল পেইন্টিং ইফেক্ট লোক দেয়া যায় অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে।এসো ডিজাইন শিখি







হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন  আছেন,আশা করি ভাল।

আজ আমি  একটি ছবি কে  কিভাবে পেইন্টিং ইফেক্ট (আর্ট) বা ডিজিটাল পেইন্টিং ইফেক্ট দেয়া যায় অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে তা নিয়ে আলোচনা করবো



ছবি  পেইন্টিং ইফেক্ট (আর্ট) বা ডিজিটাল পেইন্টিং ইফেক্ট  কি?
Art is a diverse range of human activities in creating visual, auditory or performing artifacts, expressing the author's imaginative or technical skill, intended to be appreciated for their beauty or emotional power.( Wikipedia)


শিল্পী তার সৌন্দর্য বা মানসিক শক্তি জন্য প্রশংসা করা উদ্দেশ্যে লেখক এর কল্পনাপ্রবণ বা কারিগরি দক্ষতা প্রকাশ, চাক্ষুষ, শ্রুতি বা কার্যাবলী বজায় রাখার জন্য মানুষের কার্যক্রম একটি বৈচিত্র্যময় পরিসর হয়



ছবি কে পেইন্টিং ইফেক্ট বা ডিজিটাল পেইন্টিং  ইফেক্ট  করার নিয়েম।

একটি ছবি কে কিভাবে পেইন্টিং ইফেক্ট (আর্ট) বা ডিজিটাল পেইন্টিং ইফেক্ট দেয়া যায় অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে তা আমি আপনাদের কে যতই বলি আপনারা পুরুপুরি বোঝবেন না। তার পর ও আমি চেষ্টা করছি আপনাদের কে বোঝাতে।
সবচেয়ে ভাল হয় নিচে একটি ভিডিও টিউটোরিয়াল আছে যা উপরের পিকাচার টি কিভাবে পেইন্টিং ইফেক্ট (আর্ট) বা ডিজিটাল পেইন্টিং ইফেক্ট দেয়া হয়ছে তা নিয়ে তৈরি করা হয়ছে।আমার মনে হয় আপনারা যদি ভিডিও টি দেখেন এবং নিচের নিয়ম গুলো খেয়াল করেন তাহলে ১০০% থেকে ৯৯%  বোঝে যে কোন ছবি কে পেইন্টিং ইফেক্ট বা ডিজিটাল পেইন্টিং  ইফেক্ট দিতে পারবেন ।



তাহলে চলোন আমরা একটি ছবি কে পেইন্টিং ইফেক্ট বা ডিজিটাল প্রিন্ট ইফেক্ট দিতে নিচের স্টেপ গুলো অনুসরন করি  .................................


Rule:1 At first Open up your photoshop software & selected image in Photoshop. Rule:2 Duplicate image background layer.
Rule:3 Go to toolbar select image tool and go to adjustments and subtly increase shadows and highlights Rule:4 Again go to adjustments and increase contrast. Rule:5 Duplicate current layers. Rule:6 Go to filter tool & go to other tool and apply high pass filter with radius of 5 pixels. Then click ok. Rule:7 Change the blending mode of this High Pass layer to overlay. Rule:8 Now merge the High Pass layer (ctrl+E), with the background copy below it. Rule:9 Go to filter and select sharpen.Sharpen the current layer. Rule:10 These sharp areas will help create detailed brush strokes, especially on the hairs. Rule:11 Go to Filter - Stylize - Diffuse. Rule:11 Go to filter -stylize- Diffuse,Change the Diffuse mode to Anisotropic. This gives the image that cool brushed sketchy appearance. Rule:12 Go to filter-noise-reduce noise,now add reduce noise filter to the current layer. Rule:13 Go to Filter - Sharpen - Smart Sharpen to bring out some of the details. Rule:14 Go to filter-noise-reduce noise and Again add reduce noise filter to the current layer. Rule:15 Change the layer name to painting & duplicate painting layer Rule:16 Go to Image - Image Rotation - Select 90 degree Clockwise & Now apply Diffuse filter. Rule:17 Rotate the image by 90 degree again, then apply another Diffuse filter & Repeat this step for a third time. Rule:18 Then rotate the image for a final time to place it the right way up. Rule:19 Now the effect looks like brushed effect but it was blurred slightly. Rule:20 Go to Filter - Sharpen - Smart Sharpen to bring out some of the details. Rule:21 Go to Filter-Blur-Select Surface Blur and adjust the values to around 50 pixels Radius and 15 Threshold. Rule:22 This step further manipulates the image and results in more of a digitally painted look. Rule:23 Now duplicate the original image background layer & Move the layer to top. Rule:24 Change layer name to details. Rule:25 Add high pass filter with 4 pixel radius. Rule:26 Change the blending mode to over lay. Rule:27 Add a Curves adjustment layer and brighten the whites in the image. Rule:28 Again Add a Curves adjustment layer, this time darken the blacks in the image. Rule:29 Finally add levels adjustment layer and slightly lighten the shadows. we're done. here is before and after results.







আশা করি আপনারাআর্ট (পেইন্টিং) বা ডিজিটাল পেইন্টিং ইফেক্ট ডিজাইন কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। ভুল হলে কমেন্ট করে জানাবেন। কারন আমি নিজে এখন ও শিখি ভুল গুলো ধরে দিলে আমার জন্য খুব ভাল হবে। এবং বেশি খারাপ লাগলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।

ভাল থাকবেন। দোয়া করবেন যেন সামনে আরো ভাল ভাল বিষয় আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে পারি।



Saturday, March 17, 2018

কিভাবে নিজের জন্য একটি সুন্দর ডেক্স ক্যালেন্ডার ডিজাইন করা যায় অ্যাডবি ইলেস্ট্রেটর দিয়ে। এসো ডিজাইন শিখি





হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন  আছেন,আশা করি ভাল।

আজ আমি ক্যালেন্ডার নিয়ে কথা বলবো। কিভাবে অ্যাডবি ইলেস্ট্রেটর সফটওয়্যার  দিয়ে  ডেক্স ক্যালেন্ডার ডিজাইন করতে হয় তা আলোচনা করবো।আমরা অনেকে আছি যারা ডেক্স ক্যালেন্ডার  কে টেবিল  ক্যালেন্ডার  বলে থাকি।দুইটা একিই জিনিস।


ক্যালেন্ডার কি?

ক্যালেন্ডার মানে হল বর্ষপঞ্জিকা । আমরা জানি শনিবার,রবিবার,সমবার...এভাবে ৭দিন মিলে ১সপ্তাহ হয় এবং ৩০ দিনে ১মাস,৩৬৫ দিনে ১ বছর । এই বিষয় গুলো একসাথে একটি কাগজে উপর ডিজাইন করে প্রিন্ট  করা হয় যার নাম ক্যালেন্ডার।যাতে দিনের নাম,সপ্তাহের নাম,মাসের নাম,এবং বর্তমান বছরের নাম উল্লেখ থাকে।

নতুন বছর আসলে আমাদের ক্যালেন্ডার কথা ভাবতে হয়।আমরা চেষ্টা করি সুন্দর একটা ডেক্স ক্যালেন্ডার নেয়ার।সুন্দর একটা  ক্যালেন্ডার মানে নিজের টেবিল টা আরোও সুন্দর দেখায়।


ক্যালেন্ডারে কি কি ইনফর্মেশন থাকে?

আমি যেহেতু  ডেক্স ক্যালেন্ডার নিয়ে আলোচনা করবো তাই  ডেক্স ক্যালেন্ডারে মূলত ১টি মাস নিয়ে  ডিজাইন করা হয় । তাই যে মাস নিয়ে ডেক্স ক্যালেন্ডার ডিজাইন করা হবে ঐ মাসের নাম ও ৭ দিনের নাম উল্লেখ থাকবে।


ক্যালেন্ডার ডিজাইন শিখে আমি কিভাবে ইনকাম (টাকা উপার্জন) করতে পারি?

ডেক্স ক্যালেন্ডার অথবা ক্যালেন্ডার শিখে আপনার কিভাবে ইনকাম করতে পারবেন অথাবা আপনার কি লাভ হবে ।
আপনি যদি লোকাল মার্কেটে কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই লাগবে,কারন আমাদের বছরের শুরুতে অসংখ্য ডেক্স ক্যালেন্ডার ও  ক্যালেন্ডার প্রিন্ট হচ্ছে।আপনি যদি ডেক্স ক্যালেন্ডার অথবা  ক্যালেন্ডার ডিজাইন না জানেন তাহলে আপনি কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।

আর আপনি যদি অনলাইন মার্কেটে কাজ করেন অর্থাৎ আউটসোর্সিং  করে ইনকাম করেতে চান তাহলে,আমার মতে সব চেয়ে সহজে টাকা ইনকাম করার একমাত্র পথ হল ডেক্স ক্যালেন্ডার অথবা  ক্যালেন্ডার ডিজাইন।এটা শিখা সহজ এবং সহজে ইনকাম করা ও সহজ। শুধু ডিজাইন করার মত আইডিয়া থাকলেই হবে।

এখানে কথা থাকে আমি তো অনলাইন মার্কেটে ও আউটসোর্সিং বুঝি না।আমি অনলাইন মার্কেটে ও আউটসোর্সিং নিয়ে একটি টিউটোরিয়াল অতি শিগ্রই আপলোড করবো।একটু অপেক্ষা করবেন।




ক্যালেন্ডার সাইজ কত?

প্রথমে সাইজ নিয়ে কথা বলি।যে কোন ডিজাইন করার আগে তার সম্পর্কে গুগল মাধ্যমে জেনে নিবেন,তার সাইজ, কিছু ডিজাইন দেখে নিবেন।তাতে আপনার কিছু আইডিয়া চলে আসবে।সহজে নতুন নতুন ডিজাইন আপনি সহজে করতে পারবেন।

ডেক্স ক্যালেন্ডার সাইজ- ১১*৮.৫” ইঞ্চি=সাথে ব্লেড যোগ হবে (.৫) ১১.৫*৯ ইঞ্চি,রেজুলেশন ৩০০,কালার হবে cmyk.


ব্লেড হচ্ছে ডেক্স কেলেন্ডার প্রিন্ট করার সময় কিছু অংশ কাটা পরে।এই কাটা অংশকেই বলে ব্লেড।



ডেক্স ক্যালেন্ডার দিজাইনঃ

প্রথমে ইলেস্ট্রেটর সফটওয়্যার টি ওপেন করি এবং নিউ ডুকুমেন্ট তৈরী করি।




তারপর একটি সেইপ তৈরি করি রেক্টেংগল টুল দারা।যা নিচে পিকচার টি দেখে নিন।





তারপর,সেইপ টিকে টুল বারের টুল object tool থেকে path option থেকে split into grid option সিলেক্ট করলে একটি টুল বক্স আসবে।নিচে পিকচার টির মত।
তাতে row 6 and colum 7,  getter 3pt দুই সাইটে।row 6 মানে  লম্বা ভাবে ৬টি বক্স  এবং colum মানে প্রস্থ ভাবে ৭টি বক্স, getter 3pt  মানে প্রতিটি বক্সের মধ্যে গ্যাপ। আমাদের মাস কিন্তু ৩১,৩০,২৯,২৮ দিনে যেতে পারে।এবং শনিবার থেকে শুক্রবার মোট ৭দিন তাই colum প্রস্থ ভাবে ৭টি বক্স এবং মাস যেহেতু সর্বচ্য ৩১ দিন তাই row মানে  লম্বা ভাবে ৬টি বক্স ।
নিচের পিকচার টি লক্ষ্য করুন।





তারপর,নিচের পিকচার টির বক্সের মত দেখতে আপনার সেইপ টি বক্সের একইরকম দেখাবে।আমি উপরের ৭টি বক্স কালার করেছি,এখনে সপ্তাহের নাম হবে তাই কালার দিয়ে মার্ক করে নিলাম।আপনারা আপনাদের মত করের কালার করে নিবেন।উপরের বক্স গুলো সিলেক্ট করের কালার বক্স থেকে কালার সিলেক্ট করে উপরের বক্স গুলো কালার করে নিবেন।





তারপর টেক্স টুল সিলেক্ট করি এবং টেক্স টুল দ্বারা সেইপ টিকে সিলেক্ট করি।এবং ফন্ট ( josefin sen) bold এবং character option থেকে ফন্টের সাইজ ২৪ এবং ডান পাশের যে বক্সটি leading 36 করে নিবেন।আপনি নিচের পিকচার লক্ষ্য করলে সহজে বোঝতে পারবেন।


 


তারপর টেক্স টুল সিলেক্ট করে টাইপ করতে হবে।এবং কম্পিউটার caps lock key টা অন করে নিবেন।প্রতিটি
অয়ার্ড লেখার পর কম্পিউটারের কি বোর্ড থেকে enter চাপতে হবে।তাহলে একটি অয়ার্ড একটি বক্সে লেখার পর
অন্য বক্সে সহজে চলে যাবেন।




তারপর,সব গুলো অয়ার্ড সিলেক্ট করতে হবে।এবং আলাইন মেন্ট মিডেল করে দিতে হবে।পিকচার টির একদম উপরের ডান পাশের কোণায় আলাইন টুল দেয়া আছে ।আমি মিডেল সিলেক্ট করেছি ।





এখানে, একটি গু্রুত্ব পূর্ণ কথা হলযে আপনাদের অনেকের টেক্স গুলো মিডেলে আসবে না।তাদের জন্য নিচের পিকচার তি খুবিই গুরুত্ব পূর্ণ।আমি শুধু সপ্তাহের নাম গুলো সিলেক্ট করে character option থেকে একদম নিচে -১১ মার্ক করে রেখেছি।তাতে আমার ফন্ট গুলো বক্সের মাঝে চলে আসছে।




এখানে, আমি আখানে,মাসের তারিখ গুলো সিলেক্ট করে character option থেকে একদম নিচে -১১ মার্ক করে রেখেছি।তাতে আমার ফন্ট গুলো বক্সের মাঝে চলে আসছে।





তারপর,সব গুলো ফন্ট সিলেক্ট করে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করলে একটি  টুল বক্স আসবে তাতে crate outline opton টি সিলেক্ট করতে হবে।তারপর ungroup করলে ও পারেন না করলে ও পারেন আপনার ইচ্ছে।





তারপর, ফন্ট গুলো আমি ডান সাইট নিয়ে আসছি।





এখানে বক্সের কোনা গুলো কার্ভ করার জন্য।নিচে পিকচার টি লক্ষ্য করুন।





তারপর, সব ফন্ট গুলো এবং সব বক্স গুলো এক সাথে করে ফেলা হয়ছে এবং কালার আপনার ইচ্ছে মত করে দিয়ে দিবেন।






তারপর, নতুন একটি সেইপ নিবেন, লম্বা=৮.৫ইঞ্চি  প্রস্থ=১১ ইঞ্চি





একটি পিকচার সিলেক্ট করে নিয়ে আসবেন।






তারপর, পিকচার টি সিলেক্ট থাকা অবস্থায় অপশন টুল থেকে Embed করে নিবেন তাতে পিকচার টি কাজ করতে সমস্যা হবে না।







তারপর,পিকচার টি সেইপের নিচে নেবেন।পিকচার টি সিলেক্ট করে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করলে একটি  টুল বক্স আসবে তাতে Arrange থেকে sen to back ক্লিক করলেই নিচে চলে যাবে।





এখন পিকচার এবং সেইপ টি সিলেক্ট করে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করলে একটি  টুল বক্স আসবে তাতে make clipping mask option টিতে ক্লিক করবেন।





ক্লিপিং করার পর পিকচার টি নিচের থাকা সেইপটির সাইজের মাপ অনুযায় হয়ে যাবে।





তারপর,২০১৮ লেখাটি Bauhaus 93 ফন্ট দ্বারা লিখতে হবে।





নিচে পিকচার টিতে ২০১৮ ফন্টাকে ড্রপ সেডো ( Effect থেকে stylize থেকে drop shadow option ক্লিক করলে
একটি অপশন  বক্স আসবে।তাতে নিচের পিকচার টি ফলো করে ওকে করতে হবে।





নিচে পিকচার টিতে সব ফন্টা গুলো কে  ড্রপ সেডো ( Effect থেকে stylize থেকে drop shadow option ক্লিক করলে
একটি অপশন  বক্স আসবে।তাতে উপরের পিকচার টি ফলো করে ওকে করতে হবে।






এখন প্রায় কাজ শেষ পর্যায়,মসের নাম এবং ২০১৮ টি উপরে মাঝে বসাতে হবে।এবং জানুয়ারি মাস ও তারিখ গুলো নিচে বাম পাশে বসাতে হবে।




 সর্বশেষ ডেক্স ক্যালেন্ডার ডিজাইন টি কমপ্লিট ।






তারপর মোকাপ ব্যবহার করে প্রিন্ট করার জন্য রেডি করতে হবে।





এভাবে ই ডেক্স ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়।যারা এই ডেক্স ক্যালেন্ডার এর মত ডেক্স ক্যালেন্ডার করতে চান তারা উপরের সব গুলো নিয়ম ফলো করতে পারেন।

অথবা আমার এই কাজটির একটি টিউটোরিয়াল আছে আপনারা ডেক্স ক্যালেন্ডার ডিজাইন টিউটোরিয়াল টি দেখলে আরো সহজে এই ডিজাইন টি করতে পারবেন,আমি আশা করি।

নিচে আমি ডেক্স ক্যালেন্ডার ডিজাইন টিউটোরিয়াল ভিডিও লিংক দিয়ে দিচ্ছি-





আশা করি আপনারা ডেক্স ক্যালেন্ডার ডিজাইন কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। ভুল হলে কমেন্ট করে জানাবেন। কারন আমি নিজে এখন ও শিখি ভুল গুলো ধরে দিলে আমার জন্য খুব ভাল হবে। এবং বেশি খারাপ লাগলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।

ভাল থাকবেন। দোয়া করবেন যেন সামনে আরো ভাল ভাল বিষয় আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে পারি।