Thursday, June 7, 2018

কিভাবে ক্লায়েন্টের জন্য বইয়ের কভার ডিজাইন করা যায়।এসো ডিজাইন শিখি

কিভাবে ক্লায়েন্টের জন্য বইয়ের কভার ডিজাইন করা যায়।

ক্লায়েন্টের জন্য বইয়ের কভার ডিজাইন
বইয়ের কভার ডিজাইন

হ্যালো বন্দুরা
আশা করছি ভালো আছেন

আজ আমি কিভাবে ক্লায়েন্টের জন্য বইয়ের কভার ডিজাইন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করবো।কিভাবে অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে ক্লায়েন্টের জন্য বইয়ের কভার ডিজাইন করা যায় তা আজ বিস্তারিত আলোচনা করবো।




বইয়ের কভার ডিজাইন কি?
আমার যে বই পুস্ত পড়ি বা দেখি তাঁর উপের পৃৃষ্ঠা কিন্তু বইয়ের ভিতরের পৃৃষ্ঠার মত ডিজাইন করা থাকে না।বইয়ের ভিতরের পৃৃষ্ঠা গুলো হয় মূলত তাঁর লেখা যা আমরা পড়ি।আর উপের পৃৃষ্ঠা তে থাকে বইটির নাম ,লেখকের নাম,প্রকাশনির নাম ইত্যাদি।




বইয়ের কভার ডিজাইনঃ
এখন আমরা কিভাবে একটি বইয়ের কভার ডিজাইন করা যায় তা নিয়ে কথা বলবো।

সাইজঃ বইয়ের সাইজ নির্ভর করে কিছু বিষয়ের উপর,যদি গল্পের বই হয় তাহলে বইয়ের ডিজাইন টা বেশি বড় করা যাবে না আবার বেশি ছোট করা যাবে না।আবার ছোট সাইজের বই ও ডিজাইন করা হয় তাঁর সাইজ ও অন্য রকম।
আবার যদি স্কুল/কলেজের বই হয় ,তাঁর ডিজাইন টা ও গল্পের বইয়ের ডিজাইন থেকে একটু অন্য রকম হয়।

লক্ষ্য নিয়েও বিষয়ঃ এত সব চিন্তা না করে,আপনি শুধু ডিজাইন নিয়ে ভাবুন,কারন আপনি দিজাইনার।আপনাকে প্রকাশনা থেকে সাইজ দেয়া হবে আপনি তাঁর উপর কাজ করবেন।তবে ডিজাইন করা সময় ভাবতে হবে,আপনি যা ডিজাইন করছেন তাঁর অডিয়ান্স কারা বা এই বইটি পড়তে পারে।ছোটদের গল্পের বইয়ের জন্য এক রকম আবার বড়দের জন্য অন্য রকম হবে।

কালার সিলেক্টঃ কালার ডিজাইন হল যে কোন ডিজাইনের জন্য মূল উপাদান,যার কালার কনসেপ্ট যত ভাল,তার ডিজাইন তত সুন্দর। এমনিতেই বই ডিজাইনের ক্ষেত্রে গাঁড় কালার ব্যবহার করা যায় না।যত নরমাল কালার ব্যবহার করা যায় ততই ভাল।


ডিজাইনঃ
যে কোন বই ডিজাইন করা ক্ষেত্রে তীনটি ভাগে ভাগ করে ডিজাইন করতে হয়।
১ সামনের পার্ট
২ পিছনের পার্ট
৩ মাঝখানের পার্ট

নিচের ডিজাইন টি দেখুনঃ


 ডিজাইন টিতে ৩টি পার্ট দেখানু হয়েছে।
  
প্রথমে সামনের পার্টি ডিজাইন করা হয়েছে।আপনি ইচ্ছে করলে আপনার মত করে ডিজাইন করতে পারেন।
সাইজ H=2000px,W=1600px, ফন্ট আপনার ইচ্ছে মত নিতে পারেন।


মাঝ খানের পার্টির সাইজ হল,H=2000px,W=208px, এখানে হাইট টা একিই থাকবে, ফন্ট হল Open Sans Regular এবং Open Sans Bold।




পিছনের পার্টি সাইজ হল প্রথমটির মত।যাতে সব একিই থাকবে শুধু ডিজাইন টা পরিবর্তন হবে।তবে তাতে লেখকের জীবন কাহিনী লেখা থাকে।লেখকের অন্য অন্য বইয়ের কিছু নাম থাকতে পারে।লেখকের ছবি থাকতে পারে।তারপর যে প্রকাশনা থেকে বই টি ছাপা হবে তাঁর নাম ও লোগো থাকতে পারে।




সর্বশেষ কাজ হল ভাল একটি মোকাপ ব্যবহার করে বইয়ের ডিজাইন টি ভাল ভাবে উপস্থাপন করা যাতে আপনার ক্লায়েন্ট ডিজাইন টি দেখে  খুশি হয় এবং আপনাকে পরবর্তি কাজ আপনাকে দেয়।মোকাপ করার পর আপনার ডিজাইনটি আমার উপরের বইয়ের দিজাইনটির মত বা তাঁর চেয়ে ভাল দেখাবে।





আশা করি সবাই আমার লেখা গুলো পরে ও দেখার পর, আপনারা সহজে বইয়ের কভার ডিজাইন কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। ভুল হলে কমেন্ট করে জানাবেন। কারন আমি নিজে এখন ও শিখি ভুল গুলো ধরে দিলে আমার জন্য খুব ভাল হবে। এবং বেশি খারাপ লাগলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।

ভাল থাকবেন। দোয়া করবেন যেন সামনে আরো ভাল ভাল বিষয় আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে পারি।

Wednesday, May 2, 2018

কিভাবে বর্নমালা লোগো ডিজাইন এবং ট্রাইপোগ্রাফি লোগো ডিজাইন করা যায়।

কিভাবে বর্নমালা লোগো ডিজাইন এবং ট্রাইপোগ্রাফি লোগো ডিজাইন করা যায়।



হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন  আছেন,আশা করি ভাল।

আজ আমি ,একটি বর্নমালা লোগো ডিজাইন এবং ট্রাইপোগ্রাফি লোগো ডিজাইন করা যায় কিভাবে অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে তা নিয়ে আলোচনা করবো।আশা করি সাথে থাকবেন।


যে কোন ভাষা প্রান হচ্ছে বর্নমালা।আর এই বর্নমালা ছাড়া ভাষা হয় না।ভিবিন্ন কোম্পানি তাদের প্রাতিষ্ঠানিক লোগো টি বর্নমালা দিয়ে ডিজাইন করে থাকেন।তাই কোন বর্নমালা বা ফণ্ট বা লেটার দিয়ে একজন ডিজাইনার কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য যে লোগো ডিজাইন করে থাকেন তাঁর নামই হচ্ছে বর্নমালা ডিজাইন বা টাইফোগ্রাফি ডিজাইন।



কোন বর্নমালা বা ফণ্ট বা লেটার দিয়ে একজন ডিজাইনার কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য যে লোগো ডিজাইন করে থাকেন তাঁর নামই হচ্ছে বর্নমালা লোগো বা টাইফোগ্রাফি লোগো ডিজাইন ।



ডিজাইনঃ

অ্যাডবি ফটোশপ ওপেন করি এবং নতুন ডুকুমেন্ট ওপেন করি।যার সাইজ আপনাদের ইচ্ছে মত করে নিবেন।
আমি সাইজ নিয়েছি ( w=1500px h=1000px )

তারপর,ডুকুমেন্ট টিকে ডুপ্লিকেট করে নিবেন।মেনু বার থেকে Edit+Free Trasnform (Ctrl+T) ক্লিক করে Dristic করতে হবে।এখন অবজেক্টিকে মাউস দ্বারা উপরে ও নেচে  টেনে আনতে হবে।






তারপর,কালার চেঞ্জ করে সাদা কালার করে নিবেন।এবং blending option থেকে drop shadow apply করতে হবে।


তারপর, লেয়ার টি কে সেপারেট করে নিতে হবে।লেয়ার টি সিলেক্ট থাকা অবস্থায় লেয়ার টি ডান কোনে একটি ইরোর সিম্বল আছে তাতে মাউস দ্বারা ক্লিক করলে একটি অপশন বক্স আসবে।তাতে crate layer option টি ক্লিক করলে আরেক টি বক্স আসবে তাতে ok করে দিলে ই লেয়ার টি সেপারেট হয়ে যাবে।





 Drop shadow apply করার পর সেপারেট করা লেয়ার টি সিলেক্ট থাকা অবস্থায় ইরেজ টুলের  hardness 0% করে টুলের সাইজ টা একটু বেশি করে নিতে হবে।তারপর, drop shadow apply করার দুই পাশে মুছে দিতে হবে।






তারপর,Regular Normal font দ্বারা D লেখা টি লিখে নিবেন সাইজ ৪০০ হবে।অন্য লেখা গুলো roboto font দ্বারা লিখে নিবেন।


আমার পুরু ডিজাইন টি এভাবে লিখি আপনাদের কে বোঝানো সহজ হবে না।তাই এই বর্নমালা লোগো ডিজাইন এবং ট্রাইপোগ্রাফি লোগো ডিজাইন টির একটি ভিডিও টিউটোরিয়াল আছে।আমার মনে হয় আপনারা এই ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে ডিজাইন করলে আপনাদের ডিজাইন করাটা সহজ হবে।

কিভাবে একটি ভেক্টর ইমেজ কে লাইন আর্ট ডিজাইন করা যায় লিংক- ক্লিক করুন

অথবা নিচের ভিডিও টি দেখুন






আশা করি ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখার পর, আপনারা সহজে কিভাবে বর্নমালা লোগো ডিজাইন এবং ট্রাইপোগ্রাফি লোগো ডিজাইন করা যায় কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। ভুল হলে কমেন্ট করে জানাবেন। কারন আমি নিজে এখন ও শিখি ভুল গুলো ধরে দিলে আমার জন্য খুব ভাল হবে। এবং বেশি খারাপ লাগলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।

ভাল থাকবেন। দোয়া করবেন যেন সামনে আরো ভাল ভাল বিষয় আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে পারি।

Friday, April 20, 2018

কিভাবে টেক্সট ইফেক্ট ডিজাইন করা যায় অ্যাডবি ইলেস্ট্রেটর দিয়ে ।এসো ডিজাইন শিখি


কিভাবে টেক্সট ইফেক্ট ডিজাইন করা যায় অ্যাডবি ইলেস্ট্রেটর দিয়ে।


টেক্সট ইফেক্ট ডিজাইন
টেক্সট ইফেক্ট ডিজাইন 




হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন  আছেন,আশা করি ভাল।


আজ আমি ,টেক্সট ইফেক্ট ডিজাইন বা কিভাবে ফন্ট দিয়ে টাইফোগ্রাফি দিজাইন করা যায় অ্যাডবি ইলেস্ট্রেটর দিয়ে তা নিয়ে আলোচনা করবো।আশা করি সাথে থাকবেন।

টেক্সট ইফেক্ট কি?

টেক্সট ইফেক্ট দিজাইন হচ্চে, কোন ফণ্ট বা লেটার কে ভিন্ন ভিন্ন ইফেক্ট দিয়ে কোন ডিজাইন করা।যাকে আমরা টাইফোগ্রাফি ডিজাইন বলে থাকি।



টাইফোগ্রাফি ডিজাইন কি?
কোন ফণ্ট বা লেটার দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ইফেক্টের মাধ্যমে কোন ডিজাইন করাই হচ্চে টাইফোগ্রাফি ডিজাইন।


টেক্সট ইফেক্ট ডিজাইনঃ

ডুকুমেন্ট সাইজঃ
১২০০*৮০০ পিক্সেল

টেক্সটের বা ফন্টের নামঃ
roboto bold
www.roboto.com

টেক্সটের বা ফন্টের সাইজঃ
340pt

ডিজাইনঃ

প্রথমে,আমরা টেক্সট টুলের মাধ্যমে wel-come লিখে ফেলি।তারপর ফন্টি সিলেক্ট থাকা অবস্থায়,মাউসের ডান বাটনে
ক্লিক করলে অপশন বক্স আসবে।অপশন থেকে create outilnes অপশন ক্লিক করে ফন্ট গুলোকে আন-গ্রোপ করে নিতে হবে।




তারপর,দুইটি রেক্ট্যাংগেল সেইপ wel এবং come লেখা দুটিকে ঢেকে দিতে হবে।এবং টুল বার থেকে object+path+split into gird টিতে ক্লিক করলে একটি বক্স আসবে যাতে Row & Colom দুটি অপশন থাকবে।Row তে Number ঘরে ৫ লিখে ওকে করে দিবেন।




তারপর,সেইপ এবং ফন্টকে সিলেক্ট করে পাথফাইন্ডার দিয়ে Devide করে নিবেন এবং আনগ্রোপ করে করতে হবে।ে 
দুইটি সেইপ কেই এভাবে কাস্টমাইজ করে নিতে হবে।আমি শুধু একটা দেখালাম।





তারপর,অনগ্রোপ করার পর ctrl+Y চেপে প্রিভিউ করে নিবেন।এখন ফন্টের বাহিরের অংশ গুলো ফেলে দিবেন।যাতে শুধু ফন্ট ছাড়া আর অন্য কিছু না থাকে।যা দেখতে নিচের পিকচারটির মত দেখাবে।




আমি পুরু ডিজাইন টি এভাবে লিখি আপনাদের সহজে বোঝাতে জামেলা হবে।আমার এই টেক্সট ইফেক্ট ডিজাইন টির একটি ভিডিও টিউটোরিয়াল আছে।আমার মনে হয় আপনারা এই ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে কাজ করলে  একদম সহজ লাগবে।এবং সহজে টেক্সট ইফেক্ট ডিজাইন বা টাইফোগ্রাফি ডিজাইন করতে পারবেন।


নিচে আমি ডেক্স ক্যালেন্ডার ডিজাইন টিউটোরিয়াল ভিডিও লিংক দিয়ে দিচ্ছি-






আশা করি ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখার পর, আপনারা সহজে টেক্সট ইফেক্ট ডিজাইন বা টাইফোগ্রাফি ডিজাইন কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। ভুল হলে কমেন্ট করে জানাবেন। কারন আমি নিজে এখন ও শিখি ভুল গুলো ধরে দিলে আমার জন্য খুব ভাল হবে। এবং বেশি খারাপ লাগলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।

ভাল থাকবেন। দোয়া করবেন যেন সামনে আরো ভাল ভাল বিষয় আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে পারি।

310

Monday, April 9, 2018

গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য অ্যাডবি ফটোশপের সিলেকশন টুলের শর্টকার্ট যা আপনার জন্য খুবই গুরুত্ব পূর্ণ।এসো ডিজাইন শিখি

ফটোশপের সিলেকশন টুলের শর্টকার্টঃ

ফটোশপের সিলেকশন টুলের শর্টকার্টঃ
ফটোশপের সিলেকশন টুলের শর্টকার্ট


ফটোশপের সিলেকশন টুলের শর্টকার্টঃ(পার্ট-২)

সিলেকশন টুল ৪ প্রকার-

1.      Rectangular marquee  tool
2.      Elliptical marquee  tool
3.      Single Row Marquee tool
4.      Single colum marquee tool

সিলেকশন মোডঃ

v  New selection
v  Add  to selection  > Shift
v  Subtract form selection  > Alt
v  Intersect with selection  > Shift–Alt

সিলেকশন স্টাইল প্রকারঃ
1.      Normal
2.      Fixed Ratio
3.      Fixed Size

সিলেকশন শর্টকার্ট টুলঃ

সিলেকশন থাকা অবস্থায় সিলেকশন টিকে মোভ করার জন্য >মোভ টুল সিলেক্ট থাকা অবস্থায় মাউসের রাইট বাটন চেপে মোভ করতে হয়।
ডিসিলেকশন করতে > Ctrl+D
রিসিলেকশন করতে > Shit+Ctrl+D
ফেদার সিলেকশন > Shift+F6
সেন্টার থেকে সিলেকশন হবে > Alt–drag selection
সিলেকশন কে ট্রান্সফর্ম করতে > Select tool+Transform selection

Sunday, April 8, 2018

গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য অ্যাডবি ফটোশপের কিছু শর্টকার্ট যা আপনার জন্য খুবই গুরুত্ব পূর্ণ।এসো ডিজাইন শিখি

অ্যাডবি ফটোশপের কিছু শর্টকার্ট যা আপনার জন্য খুবই গুরুত্ব পূর্ণ।
ফটোশপের কিছু শর্টকার্ট
ফটোশপ শর্টকার্ট

অ্যাডবি ফটোশপের কিছু শর্টকার্ট ঃ(পার্ট-১)

নিউ ডুকুমেন্ট >   (Ctrl+N)
ওপেন > (Ctrl+O)
ডিফল্ট ফটোশপ সাইজ >   7in*5in Resulation-72 /  RGB
ইলেক্ট্রনিক্স মীডিয়ার জন্য >   Resulation-72 /    RGB
প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য >   Resulation-300  /   CMYK
 কালার মোড ৫ ধরনের  > 
  1. Bitmap
  2. Grayscle
  3. RGB
  4. CMYK
  5. Lab

ফটোশপ বিট ২ ধরনের >   bit 8bit, 32bit
ফটোশপের উনিক মোড ৭ প্রকার। 
  • Pixle
  • Inches
  • Centimeter
  • Milimeter
  • Point
  • Columns

ফটোশপে ২ ভাবে কালার আপলাই করা যায়। 
  1. Forground color=Alt+Delate/ backspace
  2. Background color=Ctrl+Delate/backspace

Zoom-in=Ctrl+(+)
Zoom-out=Ctrl+(-)
100% zoom=Ctrl+1
Screen Zoom=Ctrl+(0)


Wednesday, March 28, 2018

কিভাবে ফ্রিল্যান্সারে ( freelancer.com ) এক্যাউন্ট করতে হয় এবং কন্টেস্টে বা বিট করে কাজ করতে হয়।( পার্ট-১ )





আমি এর আগে কিভাবে আউটসোর্সিং করতে হয় তা নিয়ে আগে একটি আরটিক্যাল লিখেছিলাম।আপনারা যারা মিস করছেন তারা একটু পড়ে নিবেন তাহলে আজকের আরটিক্যাল টা বুঝা সহজ হবে।

ফ্রিল্যান্সিং কি? কিভাবে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করা যায়।
আউটসোর্সিং কি? কিভাবে আউটসোর্সিং করতে হয়? কিভাবে আউটসোর্সিং করে আপনি আয় করবেন?


যেহেতু,আউটসোর্সিং ইন্টারনেটের মাধ্যমে করতে হয়।তাই অনলাইনে ভিবিন্ন মার্কেট প্লেস রয়েছে,যেমন freelancer.com,odesk.com,99designs.com,upwork.com।এই মার্কেট প্লেস গুলোতে ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে ইনকাম করে থাকেন।পাশাপাশি ক্লাইন্ট যারা কাজ করানোর দরকার তারা কাজ দিয়ে থাকেন।


আজ আমি একটি মার্কেট প্লেসের সম্পর্কে আলোচনা করবো তা হল freelancer.com।আনেক জনপ্রিয় একটি মার্কেট প্লেস।এখানে সহজে ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে আয় করে থাকেন।

তাহলে চলো আমরা দেখি কিভাবে ফ্রিল্যান্সারে ডট কম ( freelancer.com ) আকাউন্ট করতে হয়?

প্রথমে freelancer.com লিখে গুগলে সার্চ করতে হবে।




এই রকম একটি পেজ আসবে,যাতে freelancer.com এর লোগো থাকবে।ডান পাশে Log In Sign Up
লেখা থাকবে। বাম পাশে নিচের দিকে দুইটি বক্সের মধ্যে I want to Hire এবং I want to Work ।
আমরা যেহেতু ফ্রিল্যান্সার কাজ করবো তাই I want to Work ক্লিক করবো বা উপরের Sign Up ক্লিক করবেন।





নিচের বক্সের মত একটি বক্স আসবে।যাতে দুই ভাবে এক্যাউন্ট টি Sign Up করা যায়।আপনার যদি ফেইসবুক একাউন্ট থাকে তাহলে ফেইসবুকের মাধ্যমে একাউন্ট করা যাবে।প্রথমে লক্ষ্য করুন ফেইসবুকের
সিম্বল সহকারে Sign Up with Facebook এ ক্লিক করলেই আপনার এক্যাউন্ট হয়ে যাবে আর যারা ইমেইল দিয়ে এক্যাউন্ট করতে চান তারা নিচে বক্সের অপশন গুলো পুরুন করে নিচে দেখবেন Hire & Work দুইটি অপশন থাকবে।আপনারা Work ক্লিক করে  Create Account  ক্লিক করবেন।









উপরের কাজ গুলো সম্পুর্ন হয়ে গেলে নিচে ছবিটির মত একটি পেজ আসবে।




এখান থেকে আপনি কোন ধরনের কাজ করতে চান।তার একটি লিস্ট।ধরুন আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনার তাহলে আপনি ডিজাইন রিলেটেড অপশনে ক্লিক করবেন।অথবা আপনি যে কাজ করার জন্য এই মার্কেট প্লেসে আসছেন।সেই রিলেটেড অপশনে ক্লিক করবেন।




আমি ডিজাইন রিলেটেড অপশনে ক্লিক করার কারনে মাঝ খানে আরো আনেক অপশন চলে আসছে।এই অপশন গুলো হচ্ছে ডিজাইনে আপনি কোন কোন কাজ গুলো পারেন তার লিস্ট।আপনি যে কাজ করতে পারেন সেই অপশন গুলো ক্লিক করে দিবেন।

আমি এখানে আমার মত করে অপশন সিলেক্ট করেছি।আপনারা আপনাদের মত করে সিল্কট করে নিবেন।এখানে মূলত আপনি যে কাজ গুলো পারেন।তারপর,




আখানে,নিচে তিনটি অপশন থাকবে।BEGINNER, INTERMEDIATE, ADVANCED আপনি যদি নতুন হন তাহলে BEGINNER আপশনে ক্লিক।আর যদি আপনি মিডলেভেলের হন বা অভিজ্ঞ হন তাহলে INTERMEDIATE, ADVANCED দিতে পারেন।



তারপর,উপরের ছবিটি মত একটি পেইজ আসবে।এটি হছে আপনি যখন টাকা আয় করবেন।তখন টাকা কিভাবে উঠাবেন  তার পেইমেন্ট অপশন।আমি তা নিয়ে আরেকটি আরটিক্যাল লিখব।



তারপর উপরের ছবিটির মত আরেকটি পেইজ আসবে ।তা নতুন দের দরকার নেয়।নিচে স্কিপ অপশন থাকবে তাতে ক্লিক করে পরের পেইজে চলে যাবেন।




মোটামোটি আপনার এক্যাউন্ট করা শেশ।এখন শুধু ইমেইল ভেরিফিকেশন করে নিবেন।আপনি যে ইমেইল টি দিয়ে এক্যাউন্টি করেছেন।সেই ইমেইলে আপনাকে ভেরিফিকেশন মেইল পাঠানো হবে।আমি নিচে একটি ছবি দিয়ে দিচ্ছে।




ইমেইল থেকে ভেরিফিকেশন করে নিবেন।

তাহলে আপনার কাজ শেষ।আপনি এখন freelancer.com মার্কেট প্লেসে কাজ করতে পারেন।
আমি পরবর্তি আরটক্যালে কিভাবে freelancer.com কাজ করতে হয় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।


আশা করি আপনারা কিভাবে ফ্রিল্যান্সারে ( freelancer.com ) এক্যাউন্ট করতে হয় কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। ভুল হলে কমেন্ট করে জানাবেন। কারন আমি নিজে এখন ও শিখি ভুল গুলো ধরে দিলে আমার জন্য খুব ভাল হবে। এবং বেশি খারাপ লাগলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।

ভাল থাকবেন। দোয়া করবেন যেন সামনে আরো ভাল ভাল বিষয় আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে পারি।

Tuesday, March 27, 2018

আউটসোর্সিং কি? কিভাবে আউটসোর্সিং করতে হয়? কিভাবে আউটসোর্সিং করে আপনি আয় করবেন?।আসো ডিজাইন শিখি





হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন  আছেন,আশা করি ভাল।

আজ আমি আউটসোর্সিং কি? তা নিয়ে আলোচনা করবো । কিভাবে আউটসোর্সিং করতে হয়? কিভাবে আউটসোর্সিং করে আপনি আয় করবেন? তা নিয়েও আলোচনা করবো।

আউটসোর্সিং কি?


স্বাধীন বা মুক্ত পেশার নাম হচ্ছে আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং।অর্থাৎ স্বাধীন বা মুক্ত ভাবে বা অন্যের চাপ ছাড়া স্বাধীন ভাবে কাজ করে আয় করার নাম হচ্ছে আউটসোর্সিং।আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে বলা যায় যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভিবিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভিবিন্ন কাজ করিয়ে নেয়ার নাম হচ্ছে আউটসোর্সিং। আর যারা এই আউটসোর্সিং এর কাজ করে থাকে তাদের কে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার।


কিভাবে আউটসোর্সিং করতে হয়?

যেহেতু,আউটসোর্সিং ইন্টারনেটের মাধ্যমে করতে হয়।তাই অনলাইনে ভিবিন্ন মার্কেট প্লেস রয়েছে। যেখানে ভিবিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজন অনুযায় ভিবিন্ন কাজ এই সব মার্কেট প্লেসে দিয়ে থাকে। আর এই কাজ গুলো ফ্রিল্যান্সাররা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম বা শর্ত অনুযায়ী করে দিয়ে আয় করে থাকেন।


ফ্রিল্যান্সারের কাজ গুলো কি?

যেহেতু,আউটসোর্সিং ইন্টারনেটের মাধ্যমে করতে হয়।তাই ভিবিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।এই অনলাইন মার্কেট প্লেসে কাজ গুলো ভিবিন্ন ভাগে ভাগ করা থাকে।যেমন...

  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট,
  • সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট,
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন,
  • SCO
  • নেটওয়ার্কিং ও তথ্যব্যবস্থা (ইনফরমেশন সিস্টেম),
  • লেখা ও অনুবাদ,
  • প্রশাসনিক সহায়তা,
  • ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া,
  • গ্রাহকসেবা (Customer Service),
  • বিক্রয় ও বিপণন,
  • ব্যবসাসেবা ইত্যাদি। 
আর এই সকল কাগ গুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে প্রতিষ্ঠান কাজ গুলো আপনাকে দিবে তা করে দিতে পারলেই অনলাইনে আয় করা সম্ভব।



কিভাবে আপনি অনলাইন মার্কেট প্লেস থেকে আয় করতে পারবেন?


 

আপনাকে অনলাইন মার্কেট প্লেসে কাজ করতে হলে অবশ্যই কোন আকোটি কাজের উপর অভিজ্ঞ হতে হবে।এমনকি ভাল কাজ জানতে হবে। কারন এই অনলাইন মার্কেট প্লেস গুলোতে শুধু আপনি একা কাজ করবেন না,আপনার সাথে আপনার মত,আপনার চেয়ে ভাল,ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে থাকে। ভাল কাজ জানা না থাকলে আপনি আউটসোর্সিং সফল হতে পারবেন না। ভাল কাজের দক্ষতা থাকলেই কেবল আউটসোর্সিং জগতে ভাল আয় করা সম্ভব।

এখন আপনি ভাবুন আপনি কোন ধরনের কাজে দক্ষ এবং নিজে কে খুব আত্তবিস্বাশী মনে হয়।উপরে আনেক গুলো কাজের নাম আমি দিয়েছি আপনি মিলিয়ে দেখুন কোন টি আপনার সাথে যায়।


উপরের ছবিটি লক্ষ্য করুন,ছয় ধরনের বিষয়ের উপর অউটসোর্সিং নির্ভর করে।

Knowledge (জানতে হবে)
Expertise (অভিজ্ঞতা থাকতে হবে)
Scalability (কর্মক্ষমতা প্রসারণ)
Patience (অধিক ধর্য্য)
Skilled Service (দক্ষ্য পরিষেবা)
Better Quality (ভালো মানের)

এই ৬টি গুন থাকেই কেবল আউটসোর্সিং করে আপনি আয় করতে পারবেন।



Monday, March 26, 2018

ফ্রিল্যান্সিং কি? কিভাবে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করা যায়।এসো ডিজাইন শিখি


হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন  আছেন,আশা করি ভাল।



ফ্রিল্যান্সিং ইতিহাস কি?


সর্ব প্রথম ১৯৯৮ সালের দিকে ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করে ।তখন তারা অনলাইনে একটা মার্কেটপ্লেস খোলে,মার্কেটপ্লেসে সবাই যে কোন সময় কাজ করতে পারবে,যেখানে সবাই কাজ পাবার জন্য জব অফার করতে পারবে,

সেখান থেকেই বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু। বিষয় টা বেশ মজাদার ছিল। ধরাবাধা কোন অফিস টাইম নেই,কোন বসের চাপ নাই, যখন ইচ্ছে কাজ করলেই হলো! এই কাজ হতে পারে বিভিন্ন রকম। 


ওয়েব ডিজাইনিং থেকে শুরু করে গ্রাফিক ডিজাইনিং,সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, বিষয়ভিত্তিক আর্টিকেল লেখা বা ডাটা এন্ট্রি হতে পারে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিষয়।

ফ্রিল্যান্সিং কি?


সহজ ভাবে বলা যায় যে নির্দিস্ট কোন প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ না করে স্বাধীনভাবে যে কোন কাজ করা কে ফ্রিল্যান্সিং বলে।

আর এই ধরনের কাজে যারা নিয়জিত তাদের কে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার (freelencer) বা স্বাধিনপেশাজীবি।


ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে,কখন,কোথায় করবো?


যারা ফ্রিল্যান্সিং এ নতুন কাজ করতে চান এবং  যারা ফ্রিলেন্সিং এ একেবারে নতুন, তাদের মনে আনেক ধরনের প্রশ্ন আস্তে পারে কিভাবে কাজ করবো,কে কাজ দিবে,কোথায় কাজ গুলো পাবো,কাজ কিবাভে করতে হবে এই রকম হাজারো প্রশ্ন মনে  গুর পাক খায়।
তাই নতুন ফ্রিলেন্সারদের জন্য বলছি এই সব গুলো প্রশ্নের উত্তর আমি আপনাদের কে দিব।আপনারা কিভাবে কাজ করবেন,কোথায় করবেন,কখন করবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করবেন?

আপনি যখন নতুন তাই বলছি আগে  ফ্রিল্যান্সিং কি তা আগে জানতে হবে ।নির্দিস্ট কোন প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ না করে স্বাধীনভাবে যে কোন কাজ করা কে ফ্রিল্যান্সিং বলে।তবে সর্ব প্রথম আপনাকে কোন একটি কাজের উপর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
তারপর,যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং অনলাইন ভিত্তিক কাজ তাই যে প্রতিষ্ঠান গুলো যারা অনলাইনের মাধ্যমে আপনাকে কাজের সুযোগ করে দিবে তাদের প্রতিষ্ঠানে আপনাকে একটি নিবন্ধন করতে হবে।যা আমরা ইংরেজিতে বলি Account or Sign Up.

ফ্রিল্যান্সিং কোথায় করবেন?

ভিবিন্ন ধরনের অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আছে যারা ফ্রিল্যান্সারদের কাজ প্রদান করে থাকে।এই রকম কিছু প্রতিষ্ঠান গুলো হল-
freelencer.com
upwork.com
99designs.com
graphicriver.com
elancer.com
odesk.com
আরো আনেক প্রতিষ্ঠান আছে যা কাজ করার সুযোগ করে দিয়ে থাকে।
এখানে দুই ধরনের প্রতিষ্ঠান আছে এবং দুই ধরনের আজ আছে।প্রথম বলি দুই ধরনের প্রতিষ্ঠান,এক দরনের প্রতিষ্ঠান যারা শুধু কাজ প্রদান করে থাকে আর অন্য প্রতিষ্ঠান যারা কাজ প্রদান করে না কাজ জমা রাখে ব্যাংকের মত।
দুই ধরনের কাজ,প্রথ হল একজন ক্লাইন্ট তার চাহিদা অনুযায়ী কন্টেষ্ট(প্রতিযোগিতা) আয়োজন করে আর অন্যটি হল একজন ক্লাইন্ট কাজ(জব) পোস্ট করে সেখান থেকে বিড এর মাধ্যমে ফ্রিল্যন্সার বাছাই করে।


ফ্রিল্যান্সিং কখন করবেন?

আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার,আপনি একজন স্বাধিন কর্মী,কার কাছের কাজের কোন কৈফত দিতে হয় না।আপনি নিজেই একজন একটি কোম্পানির মালিক ।যখন মন চায় তখন কাজ করবেন,মন না চায়লে করবেন না।এটাই হল ফ্রিল্যান্সারের মুল শক্তি।কোন ধরাবাধা নিয়ম নাই।যখন কাজ করতে ইচ্ছে কাজ করবেন।


আশা করি আপনারা ফ্রিল্যান্সিং কি? কিভাবে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করা যায় কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। ভুল হলে কমেন্ট করে জানাবেন। কারন আমি নিজে এখন ও শিখি ভুল গুলো ধরে দিলে আমার জন্য খুব ভাল হবে। এবং বেশি খারাপ লাগলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।

ভাল থাকবেন। দোয়া করবেন যেন সামনে আরো ভাল ভাল বিষয় আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে পারি।