Saturday, March 17, 2018

কিভাবে নিজের জন্য একটি সুন্দর ডেক্স ক্যালেন্ডার ডিজাইন করা যায় অ্যাডবি ইলেস্ট্রেটর দিয়ে। এসো ডিজাইন শিখি





হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন  আছেন,আশা করি ভাল।

আজ আমি ক্যালেন্ডার নিয়ে কথা বলবো। কিভাবে অ্যাডবি ইলেস্ট্রেটর সফটওয়্যার  দিয়ে  ডেক্স ক্যালেন্ডার ডিজাইন করতে হয় তা আলোচনা করবো।আমরা অনেকে আছি যারা ডেক্স ক্যালেন্ডার  কে টেবিল  ক্যালেন্ডার  বলে থাকি।দুইটা একিই জিনিস।


ক্যালেন্ডার কি?

ক্যালেন্ডার মানে হল বর্ষপঞ্জিকা । আমরা জানি শনিবার,রবিবার,সমবার...এভাবে ৭দিন মিলে ১সপ্তাহ হয় এবং ৩০ দিনে ১মাস,৩৬৫ দিনে ১ বছর । এই বিষয় গুলো একসাথে একটি কাগজে উপর ডিজাইন করে প্রিন্ট  করা হয় যার নাম ক্যালেন্ডার।যাতে দিনের নাম,সপ্তাহের নাম,মাসের নাম,এবং বর্তমান বছরের নাম উল্লেখ থাকে।

নতুন বছর আসলে আমাদের ক্যালেন্ডার কথা ভাবতে হয়।আমরা চেষ্টা করি সুন্দর একটা ডেক্স ক্যালেন্ডার নেয়ার।সুন্দর একটা  ক্যালেন্ডার মানে নিজের টেবিল টা আরোও সুন্দর দেখায়।


ক্যালেন্ডারে কি কি ইনফর্মেশন থাকে?

আমি যেহেতু  ডেক্স ক্যালেন্ডার নিয়ে আলোচনা করবো তাই  ডেক্স ক্যালেন্ডারে মূলত ১টি মাস নিয়ে  ডিজাইন করা হয় । তাই যে মাস নিয়ে ডেক্স ক্যালেন্ডার ডিজাইন করা হবে ঐ মাসের নাম ও ৭ দিনের নাম উল্লেখ থাকবে।


ক্যালেন্ডার ডিজাইন শিখে আমি কিভাবে ইনকাম (টাকা উপার্জন) করতে পারি?

ডেক্স ক্যালেন্ডার অথবা ক্যালেন্ডার শিখে আপনার কিভাবে ইনকাম করতে পারবেন অথাবা আপনার কি লাভ হবে ।
আপনি যদি লোকাল মার্কেটে কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই লাগবে,কারন আমাদের বছরের শুরুতে অসংখ্য ডেক্স ক্যালেন্ডার ও  ক্যালেন্ডার প্রিন্ট হচ্ছে।আপনি যদি ডেক্স ক্যালেন্ডার অথবা  ক্যালেন্ডার ডিজাইন না জানেন তাহলে আপনি কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।

আর আপনি যদি অনলাইন মার্কেটে কাজ করেন অর্থাৎ আউটসোর্সিং  করে ইনকাম করেতে চান তাহলে,আমার মতে সব চেয়ে সহজে টাকা ইনকাম করার একমাত্র পথ হল ডেক্স ক্যালেন্ডার অথবা  ক্যালেন্ডার ডিজাইন।এটা শিখা সহজ এবং সহজে ইনকাম করা ও সহজ। শুধু ডিজাইন করার মত আইডিয়া থাকলেই হবে।

এখানে কথা থাকে আমি তো অনলাইন মার্কেটে ও আউটসোর্সিং বুঝি না।আমি অনলাইন মার্কেটে ও আউটসোর্সিং নিয়ে একটি টিউটোরিয়াল অতি শিগ্রই আপলোড করবো।একটু অপেক্ষা করবেন।




ক্যালেন্ডার সাইজ কত?

প্রথমে সাইজ নিয়ে কথা বলি।যে কোন ডিজাইন করার আগে তার সম্পর্কে গুগল মাধ্যমে জেনে নিবেন,তার সাইজ, কিছু ডিজাইন দেখে নিবেন।তাতে আপনার কিছু আইডিয়া চলে আসবে।সহজে নতুন নতুন ডিজাইন আপনি সহজে করতে পারবেন।

ডেক্স ক্যালেন্ডার সাইজ- ১১*৮.৫” ইঞ্চি=সাথে ব্লেড যোগ হবে (.৫) ১১.৫*৯ ইঞ্চি,রেজুলেশন ৩০০,কালার হবে cmyk.


ব্লেড হচ্ছে ডেক্স কেলেন্ডার প্রিন্ট করার সময় কিছু অংশ কাটা পরে।এই কাটা অংশকেই বলে ব্লেড।



ডেক্স ক্যালেন্ডার দিজাইনঃ

প্রথমে ইলেস্ট্রেটর সফটওয়্যার টি ওপেন করি এবং নিউ ডুকুমেন্ট তৈরী করি।




তারপর একটি সেইপ তৈরি করি রেক্টেংগল টুল দারা।যা নিচে পিকচার টি দেখে নিন।





তারপর,সেইপ টিকে টুল বারের টুল object tool থেকে path option থেকে split into grid option সিলেক্ট করলে একটি টুল বক্স আসবে।নিচে পিকচার টির মত।
তাতে row 6 and colum 7,  getter 3pt দুই সাইটে।row 6 মানে  লম্বা ভাবে ৬টি বক্স  এবং colum মানে প্রস্থ ভাবে ৭টি বক্স, getter 3pt  মানে প্রতিটি বক্সের মধ্যে গ্যাপ। আমাদের মাস কিন্তু ৩১,৩০,২৯,২৮ দিনে যেতে পারে।এবং শনিবার থেকে শুক্রবার মোট ৭দিন তাই colum প্রস্থ ভাবে ৭টি বক্স এবং মাস যেহেতু সর্বচ্য ৩১ দিন তাই row মানে  লম্বা ভাবে ৬টি বক্স ।
নিচের পিকচার টি লক্ষ্য করুন।





তারপর,নিচের পিকচার টির বক্সের মত দেখতে আপনার সেইপ টি বক্সের একইরকম দেখাবে।আমি উপরের ৭টি বক্স কালার করেছি,এখনে সপ্তাহের নাম হবে তাই কালার দিয়ে মার্ক করে নিলাম।আপনারা আপনাদের মত করের কালার করে নিবেন।উপরের বক্স গুলো সিলেক্ট করের কালার বক্স থেকে কালার সিলেক্ট করে উপরের বক্স গুলো কালার করে নিবেন।





তারপর টেক্স টুল সিলেক্ট করি এবং টেক্স টুল দ্বারা সেইপ টিকে সিলেক্ট করি।এবং ফন্ট ( josefin sen) bold এবং character option থেকে ফন্টের সাইজ ২৪ এবং ডান পাশের যে বক্সটি leading 36 করে নিবেন।আপনি নিচের পিকচার লক্ষ্য করলে সহজে বোঝতে পারবেন।


 


তারপর টেক্স টুল সিলেক্ট করে টাইপ করতে হবে।এবং কম্পিউটার caps lock key টা অন করে নিবেন।প্রতিটি
অয়ার্ড লেখার পর কম্পিউটারের কি বোর্ড থেকে enter চাপতে হবে।তাহলে একটি অয়ার্ড একটি বক্সে লেখার পর
অন্য বক্সে সহজে চলে যাবেন।




তারপর,সব গুলো অয়ার্ড সিলেক্ট করতে হবে।এবং আলাইন মেন্ট মিডেল করে দিতে হবে।পিকচার টির একদম উপরের ডান পাশের কোণায় আলাইন টুল দেয়া আছে ।আমি মিডেল সিলেক্ট করেছি ।





এখানে, একটি গু্রুত্ব পূর্ণ কথা হলযে আপনাদের অনেকের টেক্স গুলো মিডেলে আসবে না।তাদের জন্য নিচের পিকচার তি খুবিই গুরুত্ব পূর্ণ।আমি শুধু সপ্তাহের নাম গুলো সিলেক্ট করে character option থেকে একদম নিচে -১১ মার্ক করে রেখেছি।তাতে আমার ফন্ট গুলো বক্সের মাঝে চলে আসছে।




এখানে, আমি আখানে,মাসের তারিখ গুলো সিলেক্ট করে character option থেকে একদম নিচে -১১ মার্ক করে রেখেছি।তাতে আমার ফন্ট গুলো বক্সের মাঝে চলে আসছে।





তারপর,সব গুলো ফন্ট সিলেক্ট করে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করলে একটি  টুল বক্স আসবে তাতে crate outline opton টি সিলেক্ট করতে হবে।তারপর ungroup করলে ও পারেন না করলে ও পারেন আপনার ইচ্ছে।





তারপর, ফন্ট গুলো আমি ডান সাইট নিয়ে আসছি।





এখানে বক্সের কোনা গুলো কার্ভ করার জন্য।নিচে পিকচার টি লক্ষ্য করুন।





তারপর, সব ফন্ট গুলো এবং সব বক্স গুলো এক সাথে করে ফেলা হয়ছে এবং কালার আপনার ইচ্ছে মত করে দিয়ে দিবেন।






তারপর, নতুন একটি সেইপ নিবেন, লম্বা=৮.৫ইঞ্চি  প্রস্থ=১১ ইঞ্চি





একটি পিকচার সিলেক্ট করে নিয়ে আসবেন।






তারপর, পিকচার টি সিলেক্ট থাকা অবস্থায় অপশন টুল থেকে Embed করে নিবেন তাতে পিকচার টি কাজ করতে সমস্যা হবে না।







তারপর,পিকচার টি সেইপের নিচে নেবেন।পিকচার টি সিলেক্ট করে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করলে একটি  টুল বক্স আসবে তাতে Arrange থেকে sen to back ক্লিক করলেই নিচে চলে যাবে।





এখন পিকচার এবং সেইপ টি সিলেক্ট করে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করলে একটি  টুল বক্স আসবে তাতে make clipping mask option টিতে ক্লিক করবেন।





ক্লিপিং করার পর পিকচার টি নিচের থাকা সেইপটির সাইজের মাপ অনুযায় হয়ে যাবে।





তারপর,২০১৮ লেখাটি Bauhaus 93 ফন্ট দ্বারা লিখতে হবে।





নিচে পিকচার টিতে ২০১৮ ফন্টাকে ড্রপ সেডো ( Effect থেকে stylize থেকে drop shadow option ক্লিক করলে
একটি অপশন  বক্স আসবে।তাতে নিচের পিকচার টি ফলো করে ওকে করতে হবে।





নিচে পিকচার টিতে সব ফন্টা গুলো কে  ড্রপ সেডো ( Effect থেকে stylize থেকে drop shadow option ক্লিক করলে
একটি অপশন  বক্স আসবে।তাতে উপরের পিকচার টি ফলো করে ওকে করতে হবে।






এখন প্রায় কাজ শেষ পর্যায়,মসের নাম এবং ২০১৮ টি উপরে মাঝে বসাতে হবে।এবং জানুয়ারি মাস ও তারিখ গুলো নিচে বাম পাশে বসাতে হবে।




 সর্বশেষ ডেক্স ক্যালেন্ডার ডিজাইন টি কমপ্লিট ।






তারপর মোকাপ ব্যবহার করে প্রিন্ট করার জন্য রেডি করতে হবে।





এভাবে ই ডেক্স ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়।যারা এই ডেক্স ক্যালেন্ডার এর মত ডেক্স ক্যালেন্ডার করতে চান তারা উপরের সব গুলো নিয়ম ফলো করতে পারেন।

অথবা আমার এই কাজটির একটি টিউটোরিয়াল আছে আপনারা ডেক্স ক্যালেন্ডার ডিজাইন টিউটোরিয়াল টি দেখলে আরো সহজে এই ডিজাইন টি করতে পারবেন,আমি আশা করি।

নিচে আমি ডেক্স ক্যালেন্ডার ডিজাইন টিউটোরিয়াল ভিডিও লিংক দিয়ে দিচ্ছি-





আশা করি আপনারা ডেক্স ক্যালেন্ডার ডিজাইন কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। ভুল হলে কমেন্ট করে জানাবেন। কারন আমি নিজে এখন ও শিখি ভুল গুলো ধরে দিলে আমার জন্য খুব ভাল হবে। এবং বেশি খারাপ লাগলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।

ভাল থাকবেন। দোয়া করবেন যেন সামনে আরো ভাল ভাল বিষয় আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে পারি।


কিভাবে একটি স্ট্যান্ডার্ড ইনভেলাপ ডিজাইন করা যায় অ্যাডবি ইলেস্ট্রেটর দিয়ে।এসো ডিজাইন শিখি

এসো ডিজাইন শিখি

স্ট্যান্ডার্ড ইনভেলাপ ডিজাইন
স্ট্যান্ডার্ড ইনভেলাপ ডিজাইন 




হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন  আছেন,আশা করি ভাল।

অ্যাডবি ইলেস্ট্রেটর দিয়ে কিভাবে একটি স্ট্যান্ডার্ড চিঠির ইনভেলাপ ডিজাইন করা যায়, তা আজ আমি আপনাদের সামনে আলোচনা করবো।


চিঠির ইনভেলাপ (Envelop) কি?
চিঠির ইনভেলাপ হচ্ছে নিজের বা ব্যক্তিগত বা কোন প্রতিঠানের তথ্য প্রেরনের জন্য একটি  ঠিকানা যুক্ত কাগজের একটি অংশ থাকে যাকে চিঠির খাম বা চিঠির ইনভেলপ বলে। 
এক কথায় একটি তথ্য কে অন্য স্থানে প্রেরনের জন্য যে মাধ্যম কে ব্যবহার করে তথ্যটিকে প্রেরন করা হয় তাকে চিঠি খাম বা চিঠির ইনভেলপ  বলে।এখানে তথ্য বলতে চিঠি কে বুঝানো হয়েছে।

চিঠির ইনভেলাপ কি কি ইনফর্মেশন থাকে?

ইনভেলাপে ইনফর্মেশনের দুইটি পার্ট থাকে।যাকে বাংলায় বলা হয়-প্রেরক ও প্রাপক।যে চিঠি টি পাঠাচ্ছে তাকে প্রেরক  বলে এবং যে চিঠি টি পাবে তাকে প্রপক বলে।
যে চিঠি পাঠাবে তার ঠিকানা এক পাশে ও যে চিঠি পাবে তার ঠিকানা অন্য পাশে লেখা থাকে।দুই জনেরই একিই টাইপের ইনফর্মেশন থাকে অর্থাৎ যার যার ঠিকানা যার  যার সাইড । ঠিকানাই,নাম,গ্রাম,পোস্ট অফিস,থানা,জেলা ও মোবাইল নাম্বার।


চিঠির ইনভেলাপ (Envelop) সাইজ কত?

প্রথমে সাইজ নিয়ে কথা বলি ইনভেলপএর সাইজ হল ৯.৫"*৪.১২৫" ইঞ্চি
প্রস্ত ৯.৫ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ৪.১২৫ ইঞ্চি হয়ে থাকে।

তবে এখানে ৩টি পার্ট থাকে,সামনের পার্ট,পিছনের পার্ট,ও উপরের ১" ইঞ্চি সাইজের পার্ট যা টেপ লাগানোর জন্য।

ইনভেলপ ডিজাইন

একদম নর্মাল একটি ডিজাইন ।শুধু খেয়াল করুন  আর সাইজ মত কাজ করুন।প্রথম ব্রেক পার্টির সাইজ ৯.৫"*৪.১২৫" ইঞ্চি এবং সামনের পার্টির সাইজ ৯.৫"*৪.১২৫" ইঞ্চি।



প্রথমে প্রস্ত ৯.৫ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ৪.১২৫ ইঞ্চি একটি শেইপ নেই।যা নিচের পিকচার টিতে দেখুন...



প্রস্ত ৯.৫ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ৪.১২৫ ইঞ্চি দিয়ে আরেক টি শেইপ নেই।





তারপর,প্রস্ত ৯.৫ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ১ ইঞ্চি উপের টেপ শেইপ এবং প্রস্ত ১.৫ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ৪.১২৫ ইঞ্চি লেফ ও রাইট সাইটের দুটি শেইপ নেয়া হল।
তারপর,তিনটি শেইপের কর্নার গুলো একটু ভিতরের দিক নিয়ে আসা হয়ছে।





তারপর,তিনটি শেইপের কর্নার গুলো একটু ভিতরের দিক নিয়ে আসার পর সব গুলো কর্নার কার্ভ করা হয়ছে। সাথে সাইজ গুলো দিয়ে দেখানো হয়ছে।






তারপর,ভিউটা দেখতে নিচের পিকচার টার মত দেখা যাবে।বেসেকেলি প্রতিটা ইনভেলাপ ডিজাইন প্রথমে এরকম দেখায়।



তারপর, ব্ল্যাংক ইনভেলাপে আপনার নিজের মনমত ডিজাইন করে নিতে পারেন।আমি আমার মত করে ডিজাইন করেছি।এতে এক সাইটে ডিজাইন ও ওপর পাশে কোম্পানির লোগো ও ঠিকানা থাকে।নিচে পিকচার টি লক্ষ্য করুন। 









এভাবে ই একটি স্ট্যান্ডার্ড ইনভেলাপ ডিজাইন করা হয়।যারা এই স্ট্যান্ডার্ড ইনভেলাপ এর মত স্ট্যান্ডার্ড ইনভেলাপ করতে চান তারা উপরের সব গুলো নিয়ম ফলো করতে পারেন।

অথবা আমার এই কাজটির একটি টিউটোরিয়াল আছে আপনারা একটি স্ট্যান্ডার্ড ইনভেলাপ ডিজাইন টিউটোরিয়াল টি দেখলে আরো সহজে এই ডিজাইন টি করতে পারবেন,আমি আশা করি।

নিচে আমি ডেক্স ক্যালেন্ডার ডিজাইন টিউটোরিয়াল ভিডিও লিংক দিয়ে দিচ্ছি-






আশা করি আপনারা চিঠির ইনভেলাপ ডিজাইন কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। ভুল হলে কমেন্ট করে জানাবেন। কারন আমি নিজে এখন ও শিখি ভুল গুলো ধরে দিলে আমার জন্য খুব ভাল হবে। এবং বেশি খারাপ লাগলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।

ভাল থাকবেন। দোয়া করবেন যেন সামনে আরো ভাল ভাল বিষয় আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে পারি।

Saturday, March 10, 2018

কিভাবে নিজের ফেইসবুকের কভার ফটো বা টাইমলাইন কে প্রোফেশনাল লোক দিবেন অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে।এসো ডিজাইন শিখি

কিভাবে নিজের প্রফেশনাল ফেইসবুক কভার টাইমলাইন নিজেই ডিজাইন করবেন অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে।
( এসো ডিজাইন শিখি )






হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন  আছেন,আশা করি ভাল।

আজ আমি সোসাইল মেডিয়া  ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন ডিজাইন নিয়ে আলোচনা করবো। কিভাবে অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন ডিজাইন করা যায়।অনেক বন্দুরা আছেন যারা ফেইসবুক টাইমলাইন অথবা ফেইসবুক কভার ফটো বলে থাকেন।
মূলত যারা প্রফেশনাল ফেইসবুক কভার ইমেজ দ্বারা  নিজেকে প্রফেশনাল বা নিজের প্রতিস্টান  কে ভাল  ভাবে সোসাইল মেডিয়া  রিপ্রেজেন্ট করতে চান।তাদের জন্য একটি ভাল ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন  ডিজাইন খুবই দরকার।



ফেইসবুক কি?

বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুক। এটি আমাদের বিনোদনের মাধ্যমও বটে।


ফেইসবুক কভার ফটো কি?

ফেসবুক প্রোফাইলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কভার ফটো। কভার ফটোটির বিস্তৃতি সম্পূর্ণ জায়গা জুড়ে। ব্যবহারকারী তার  প্রোফাইলের ছবির পিছনে বিস্তৃতি সম্পূর্ণ জায়গা জুড়ে যে জায়গা টি আছে তাকে ফেইসবুক কভার ফটো বা টাইমলাইন বলে।

কেন ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন দরকার?

মূলত যারা প্রফেশনাল ফেইসবুক কভার ইমেজ দ্বারা  নিজেকে প্রফেশনাল  বা নিজের প্রতিস্টান কে ভাল  ভাবে সোসাইল মেডিয়া দ্বারা পুরো বিশ্বের কাছে  প্রেজেন্ট করতে চান তাদের জন্য ফেইসবক কভার ফটো খুবিই গুরুত্বপূর্ন।আজকাল প্রায় সবাই  ফেইসবুক আকাউন্ট আছে এবং সবাই এই ভার্চোয়াল জগতে আকটিভ থাকার জন্য তাদের  ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন ভাল ভাবে উপস্থাপন করতে চান।তাই ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন দরকার।



ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন সাইজ কত?

ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন সাইজ সাইজ  ৮৫১*৩১৫ পিক্সেল,300 রেজুলেশন,CMYK mode,


ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন ডিজাইন-

প্রথমে একটি নতুন ডুকমেন্ট ওপেন করি এবং ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন সাইজ সাইজ  ৮৫১*৩১৫ পিক্সেল,৭২ রেজুলেশন,RGB mode, দিয়ে ।






তারপর,নিচের পিকচার টির মত ৩০ ডীগ্রি অ্যাঙ্গেলে ৩টি সেইপ নিন মাঝের টা সাদা।আমি গাইড দ্বারা ভাগ ভাগ করে সেইপ গুলো নিয়েছি।আপনারা ও চেষ্টা করতে পারেন।




তারপর,নিচে একটি শহরের ছবি অ্যাড করেছি।আপনারা চাইলে ফেইসবুকের সাইজ অনুযায় নিচে আকট সেইপ নিয়ে তার উপর ছুবিটি ক্লিপিং মাস্ক করে দিতে পারেন।আমি তাই করেছি।




আখানে,মাঝে যে সাদা সেইপ টা আছে তার উপর একটি ছবি রেখে তাকে ক্লিপিং মাস্ক করে দেওয়া হয়ছে।যাতে সাদা সেইপ টির বাহিরে ছবিটির অংশ না দেখা যায়।




তারপর,ডান পাশে নিজের নাম এবং টাইটেল তার উপর নিজের সম্পর্কে কিছু টেক্স( যাতে আপনার গুরুত্ব পূর্ণ ইনফর্মেশন থাকে)




তারপর,বাম পাশে নিজের কোম্পানির নাম এবং লোগো। তার নিচে আপনার একটি ছবি থাকবে।




সর্বশেষ ডিজাইন টি এরকম দেখাবে।




এভাবে ই ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন ডিজাইন করা হয়।যারা এইফেইসবুক কভার ফটো ডিজাইন করতে চান তারা উপরের সব গুলো নিয়ম ফলো করতে পারেন।

অথবা আমার এই কাজটির একটি টিউটোরিয়াল আছে আপনারা ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন ডিজাইন টিউটোরিয়াল টি দেখলে আরো সহজে এই ডিজাইন টি করতে পারবেন,আমি আশা করি।


নিচে আমি আইডি কার্ড ডিজাইন টিউটোরিয়াল ভিডিও লিংক দিয়ে দিচ্ছি-






আশা করি আপনারা ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন ডিজাইন কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। ভুল হলে কমেন্ট করে জানাবেন। কারন আমি নিজে এখন ও শিখি ভুল গুলো ধরে দিলে আমার জন্য খুব ভাল হবে। এবং বেশি খারাপ লাগলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।


ভাল থাকবেন। দোয়া করবেন যেন সামনে আরো ভাল ভাল বিষয় আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে পারি।

কিভাবে একটি সুন্দর চিঠির ইনভেলাপ ডিজাইন করা যায় অ্যাডবি ইলেস্ট্রেটর দিয়ে। ( এসো ডিজাইন শিখি )

কিভাবে একটি সুন্দর চিঠির ইনভেলাপ ডিজাইন করা যায় অ্যাডবি ইলেস্ট্রেটর দিয়ে। 
( এসো ডিজাইন শিখি )




হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন  আছেন,আশা করি ভাল।

অ্যাডবি ইলেস্ট্রেটর দিয়ে কিভাবে একটি সুন্দর চিঠির ইনভেলাপ ডিজাইন করা যায়, তা আজ আমি আপনাদের সামনে আলোচনা করবো।
চিঠির ইনভেলাপ (Envelop) কি?
চিঠির ইনভেলাপ হচ্ছে নিজের বা ব্যক্তিগত বা কোন প্রতিঠানের তথ্য প্রেরনের জন্য একটি  ঠিকানা যুক্ত কাগজের একটি অংশ থাকে যাকে চিঠির খাম বা চিঠির ইনভেলপ বলে। 
এক কথায় একটি তথ্য কে অন্য স্থানে প্রেরনের জন্য যে মাধ্যম কে ব্যবহার করে তথ্যটিকে প্রেরন করা হয় তাকে চিঠি খাম বা চিঠির ইনভেলপ  বলে।এখানে তথ্য বলতে চিঠি কে বুঝানো হয়েছে।

চিঠির ইনভেলাপ কি কি ইনফর্মেশন থাকে?

ইনভেলাপে ইনফর্মেশনের দুইটি পার্ট থাকে।যাকে বাংলায় বলা হয়-প্রেরক ও প্রাপক।যে চিঠি টি পাঠাচ্ছে তাকে প্রেরক  বলে এবং যে চিঠি টি পাবে তাকে প্রপক বলে।
যে চিঠি পাঠাবে তার ঠিকানা এক পাশে ও যে চিঠি পাবে তার ঠিকানা অন্য পাশে লেখা থাকে।দুই জনেরই একিই টাইপের ইনফর্মেশন থাকে অর্থাৎ যার যার ঠিকানা যার  যার সাইড । ঠিকানাই,নাম,গ্রাম,পোস্ট অফিস,থানা,জেলা ও মোবাইল নাম্বার।


চিঠির ইনভেলাপ (Envelop) সাইজ কত?

প্রথমে সাইজ নিয়ে কথা বলি ইনভেলপএর সাইজ হল ৯.৫"*৪.১২৫" ইঞ্চি
প্রস্ত ৯.৫ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ৪.১২৫ ইঞ্চি হয়ে থাকে।

তবে এখানে ৩টি পার্ট থাকে,সামনের পার্ট,পিছনের পার্ট,ও উপরের ১" ইঞ্চি সাইজের পার্ট যা টেপ লাগানোর জন্য।




উপরের পিকচার টিতে-৩টি পার্ট দেখানো হল।
পিছনের পার্টি তে টেপ পার্ট টি আঠা লাগানো হয়।আর সামনের পার্টি তে ইনফর্মেশন যুক্ত করা হয়।এখানে এক পাশে ইনফর্মেশন দেখানো হয়েছে।এই ইনফর্মেশন টি হছে যে চিঠি টি পাবে তার।যদি এক পাশে ইনফর্মেশন দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে এটা প্রাপকের ঠিকানা।



ইনভেলপ ডিজাইন

একদম নর্মাল একটি ডিজাইন ।শুধু খেয়াল করুন  আর সাইজ মত কাজ করুন।প্রথম ব্রেক পার্টির সাইজ৯.৫"*৪.১২৫" ইঞ্চি এবং সামনের পার্টির সাইজ ৯.৫"*৪.১২৫" ইঞ্চি।
টেপ পার্টি ১*৪.১২৫ ইঞ্চি এবং দুই পাশে ৯.৫*১ ইঞ্চি মাপের সাইজ নিয়ে সব গুলো যোগ করে দেন ।দেখবেন আপনার চিঠির খাম অথবা চিঠির ইনভেলপ ডিজাইন তৈরি হয়ে গেছে।




এভাবে ই চিঠির ইনভেলাপ তৈরি করা হয়।যারা এই চিঠির ইনভেলাপ মত চিঠির ইনভেলাপ ডিজাইন করতে চান তারা উপরের সব গুলো নিয়ম ফলো করতে পারেন।

অথবা আমার এই কাজটির একটি টিউটোরিয়াল আছে আপনারা চিঠির ইনভেলাপ ডিজাইন টিউটোরিয়াল টি দেখলে আরো সহজে এই ডিজাইন টি করতে পারবেন,আমি আশা করি।নিচে আমি ভ ডিজাইন টিউটোরিয়াল ভিডিও লিংক দিয়ে দিচ্ছি-







আশা করি আপনারা চিঠির ইনভেলাপ ডিজাইন কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। ভুল হলে কমেন্ট করে জানাবেন। কারন আমি নিজে এখন ও শিখি ভুল গুলো ধরে দিলে আমার জন্য খুব ভাল হবে। এবং বেশি খারাপ লাগলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।
ভাল থাকবেন। দোয়া করবেন যেন সামনে আরো ভাল ভাল বিষয় আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে পারি।


Thursday, January 11, 2018

অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে কিভাবে একটি আইডি কার্ড ID CARD ডিজাইন করা যায়।(এসো ডিজাইন শিখি)





হ্যালো বন্ধুরা
আশা করছি ভালো আছেন
আজ আমি আইডি কার্ড (ID CARD) কিভাবে অ্যাডবি ফটোশপের মাধ্যমে ডিজাইন করতে হয় তা আপনাদের কে বলবো।



আইডি কার্ড (ID CARD) কি?
 ID CARD হচ্ছে কোন একটি কম্পানি বা কোন প্রতিঠানের কর্মিদের সহজে পরিচইয়ের জন্য একধরনের  ইনফর্মেশন যুক্ত কার্ড  দেওয়া হয় তাকে আইডি কার্ড(ID CARD) বলে। আইডি কার্ড(ID CARD)  মূলত কোন কম্পানির পরিচয় পত্র।


 আইডি কার্ডে কি কি ইনফর্মেশন থাকে?

উপরের আইডি কার্ড(ID CARD)  টি একটু খেয়াল করেন, এখানে আইডি কার্ডটিতে নিজের নাম, মোবাইল নাম্বার, ব্লাড গ্রুপ, ইমেইল,কার্ডটির মেয়াদ, ইত্যাদি এবং নিচে কম্পানির লোগো এবং নাম।

 আইডি কার্ডের সাইজ কত?



প্রথমে সাইজ নিয়ে কথা বলি আইডি কার্ড(ID CARD) এর সাইজ হল ৬০০*৯৭৫

প্রস্ত ৬০০পিক্সেল এবং উচ্চতা ৯৭৫ পিক্সেল হয়ে থাকে।






উপরের সাইজ দিয়ে একটি অ্যাডবি ইলেস্ট্রেটর সাহায্যে  ডুকমেন্ট তৈরি করি ।প্রথমে  file-new=new ducoment (ctrl+n) নিউ ডুকুমেন্ট  ওপেন হবে।যা দেখতে নিচের পিকটির মত।





উপরের একটি ব্যাকগ্রাউন্ড কালার নেয় যার কোড 0b1b27  এবং ৬টি সেইপ নেয় হয়ছে হুলুদ কালারের যার কোড ffce0c  এবং প্রতিটি শেইপ ৪৫ ডিগ্রি আঙ্গেলে ডিজাইন করা হয়ছে।আপনারা আপনাদের মত করে আঙ্গেলে ডিজাইন করবেন।
এবং পিকচার টা একটি স্কয়ার শেইপের উপর ক্লিপিং মাস্ক করা হয়েছে।তাতে স্টক হলুদ  কালার ব্যবহার করা হয়েছে।







তারপর,আইডি কার্ড এর নিয়ম অনুযাই,যার জন্য কার্ড তৈরি করা হচ্ছে তার নাম ও  ঠিকানা বা তার কনটাক্ট ইনফর্মেশন ব্যবহার করতে হয়।যার সাথে কিছু আইকন ব্যবহার না করে একটি হরিযেন্টাল শেইপের উপর ইনফর্মেশন নাম ব্যবহার করা করেছি।




অথবা আমার এই কাজটির একটি টিউটোরিয়াল আছে আপনারা আইডি কার্ড ডিজাইন টিউটোরিয়াল তা দেখলে আরো সহজে এই ডিজাইন টি করতে পারবেন,আমি আশা করি।

নিচে আমি আইডি কার্ড ডিজাইন টিউটোরিয়াল ভিডিও লিংক দিয়ে দিচ্ছি-










আশা করি আপনারা আইডি কার্ড(ID CARD) ডিজাইন কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। ভুল হলে কমেন্ট করে জানাবেন। কারন আমি নিজে এখন ও শিখি ভুল গুলো ধরে দিলে আমার জন্য খুব ভাল হবে। এবং বেশি খারাপ লাগলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।

ভাল থাকবেন। দোয়া করবেন যেন সামনে আরো ভাল ভাল বিষয় আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে পারি।