Sunday, April 1, 2018

কিভাবে অনলাইনের জন্য একটি ব্যানার ডিজাইন করা যায় অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে।আসো ডিজাইন শিখি

অনলাইনের জন্য একটি ব্যানার ডিজাইন করা যায় অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে

অনলাইনের জন্য একটি ব্যানার ডিজাইন করা যায় অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে


হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন  আছেন,আশা করি ভাল।

 আজ আমি কিভাবে অনলাইন মার্কেট প্লেসের জন্য একটি  ব্যানার ডিজাইন করা যায় অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে তা আলোচনা করবো।



ব্যানার (Banner) কি?



ব্যানার হচ্ছে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি বিজ্ঞাপনি পোস্টার।যা কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য  ব্যবসাহিক বিজ্ঞাপন হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

যেহেতু আজকের আরটিক্যাল টা অনলাইন নিয়ে।তাই ধরুন আপনি অনলাইন মার্কেট প্লসে একটি প্রতিষ্ঠান জন্য একটি ব্যনার ডিজাইন করছেন।ঐ ,প্রতিষ্ঠান তার পণ্য ও সেবার প্রতি তার দেশের জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এই বিজ্ঞাপন  টি তৈরি করে প্রচারিত করতে চান। এখন আপনি বিজ্ঞাপন টি কিভাবে প্রচারিত করতে চান ?
এই বিজ্ঞাপন টি আপনি যে বস্তুর মাধ্যমে প্রচার করতে চান তাকেই ব্যনার বলে।



ব্যানার দুই প্রকার-

ব্যানার-প্রিন্ট রিলেটেঢ সবধরনের বিজ্ঞাপন পোস্টার।
ওয়েভ ব্যানার-ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে ব্যবহারিত সবধরনের বিজ্ঞাপন পোস্টার।




ওয়েভ ব্যানার (Banner) কি?


ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে কোন প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবার প্রতি জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য যে বিজ্ঞাপন দেয়া হয় তাকে ওয়েভ ব্যানার  বলে।যেমন সোসাইল মেডিয়া অর্থাৎ ফেইসবুকে গুগল প্লাস,টুইটার, যেসব বিজ্ঞাপন আমরা দেখি।

ব্যানার ডিজাইন (Banner design) কি? 



ব্যানার ডিজাইন বা বিজ্ঞাপনি পোস্টার ডিজাইন করার জন্য যে পদ্বতি অবলম্বন করে ডিজাইন করা হয় তাকে
ব্যানার ডিজাইন বলে।





ব্যানার ডিজাইন শিখে কিভাবে তা কাজে লাগাবো?

আপনি ব্যানার ডিজাইন শিখে দুই ভাবে ইনকাম করতে পারেন-
১,আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানে জব করতে চান তাহলে আপনাকে ব্যানার ডিজাইন শিখতে হবে ।কারন যে কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানে তাদের বিজ্ঞাপন দিতে তাদের ব্যানার ডিজাইন দরকার পরবে,আর আপনি এক জন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে তা অব্যশই জানা লাগবে।

২,আপনি যদি আউটসোর্সিং বা অনলাইনে কাজ করতে চান তাহলে ব্যানার ডিজাইন দিয়ে আপনি মোটামোটি ভালই ইনকাম করতে পারবেন।তবে অনলাইন মার্কেটে ওয়েভ ব্যানার টা বেশি দরকার পরে।




ব্যানার ডিজাইন (Banner) সাইজ কত?

ব্যানারের সাইজ মূলত একেক ব্যানার একেক সাইজের হয়ে থাকে।আমি উপরে যে ব্যানার টা ডিজাইন করেছি তার সাইজ হল-
প্রস্থ-১২০০ পিক্সেল,লম্বা-৩৭০ পিক্সেল রেজুলেশন-৭২





ব্যানার ডিজাইনঃ-


 প্রথমে একটা নতুন ফটোশপ ফাইল ক্রিয়েট করুন (Ctrl + N); ফাইলের width & heignt  যথাক্রমে 1200px এবং 370px দিন।অথবা ব্যানারের সাইজ অনুযায় প্রস্থ-১২০০ পিক্সেল,লম্বা-৩৭০ পিক্সেল রেজুলেশন-৭২  একটি ডুকুমেন্ট তৈরি করি।

কিভাবে অনলাইনের জন্য একটি ব্যানার ডিজাইন করা যায় অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে


তারপর,আকটি কার্ভ টানব পেন টুল দ্বারা।#00513d #016a50 #0e775d এই ৩টি কালার কোড দ্বারা নিচের ৩টি পিকচারের সেইপ ডিজাইন করা হয়ছে।আপনারা এই কালার কোড অথবা যে কোন কালার দিয়ে সেইপ গুলো ডিজাইন করতে পারেন।






তারপর,এই ৩টি সেইপ ডিজাইন করা হয়ে গেলে।নিচের পিকচার টির মত দেখতে লাগবে।





তারপর,দুইটি গোল সেইপ নিবেন,আকটি অন্যটির ওপর রেখে,উপরের ব্রেকগ্রাউন্ড কালার #c49e04 হুলুদ হবে।এবং স্ট্রোক দিবেন সাদা,যা নিচের পিকচার টির মত দেখতে লাগবে।নিচের গোল সেইপ টিকে লেয়ার স্টাইল থেকে ড্রপ-সেডো দিতে হবে।আমি ড্রপ-সেডো অপশনটি দিয়ে দিয়েছি।





তারপর,এই দুইটি গোলার সেইপের মাঝ বরাবর,৳৫৯৯ লেখা টি যে কোন ফন্ট দ্বারা আপনারা লিখতে পারেন।সাথে ডান পাশের কোণায় একটি ডাইলগ বক্স ডিজাইন করা হয়েছে।




সর্বশেষ,বাম পাশে আপনি আপনার মূল বিজ্ঞাপনটির ডাইলগ টি টাইপ করবেন।তারপর আপনার ক্লাইন্টে মোকাপ করে,উপরের পিকচারটির মত।আপনি আপনার ডিজাইন টি সাবমিট করবেন।

কিভাবে অনলাইনের জন্য একটি ব্যানার ডিজাইন করা যায় অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে



এভাবে ই একটি অনলাইনের জন্য একটি ব্যানার ডিজাইন তৈরি করা হয়।যারা এই ব্যানার টির মত ব্যানার ডিজাইন করতে চান তারা উপরের সব গুলো নিয়ম ফলো করতে পারেন।


অথবা আমার এই কাজটির একটি ভিডিও টিউটোরিয়াল আছে আপনারা ব্যবসাহিক ব্যানার ডিজাইন ভিডিও টিউটোরিয়াল টি দেখলে আরো সহজে এই ডিজাইন টি করতে পারবেন,আমি আশা করি।






আশা করি আপনারা অনলাইনের জন্য একটি ব্যানার ডিজাইন কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। ভুল হলে কমেন্ট করে জানাবেন। কারন আমি নিজে এখন ও শিখি ভুল গুলো ধরে দিলে আমার জন্য খুব ভাল হবে। এবং বেশি খারাপ লাগলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।

ভাল থাকবেন। দোয়া করবেন যেন সামনে আরো ভাল ভাল বিষয় আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে পারি।

ভিজিটিং কার্ড ডিজাইন শিখুন, অনলাইন মার্কেটে কাজ করে আয় করুন।(পার্ট-১) এসো ডিজাইন শিখি


ভিজিটিং কার্ড ডিজাইন শিখুন, অনলাইন মার্কেটে কাজ করে আয় করুন।


ভিজিটিং কার্ড ডিজাইন শিখুন, অনলাইন মার্কেটে কাজ করে আয় করুন।



হ্যালো বন্দুরা
আশা করছি ভালো আছেন

আজ আমি পার্সনাল ভিজিটিং কার্ড নিয়ে আলোচনা করবো।কিভাবে অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে নিজের জন্য একটি সুন্দর পার্সনাল ভিজিটিং কার্ড  ডিজাইন করতে হয় তা আজ বিস্তারিত আলোচনা করবো।
অনেক বন্দুরা আছেন যারা ভিজিটিং কার্ড কে বিজিনেস কার্ড বলে থাকেন।দুইটা একিই জিনিস।


পার্সনাল ভিজিটিং কার্ড কি?

প্রথমে ভিজিটিং কার্ড অথবা বিজিনেস কার্ড নিয়ে কিছু কথা বলি।ভিজিটিং কার্ড মূলত আপনার পরিচয় কে অন্যের নিকট রিপ্রেজেন্ট করে।অর্থাৎ ভিজিটিং কার্ড হচ্ছে আপনার সমস্ত ইনফর্মেশন যুক্ত একটি কাগজের টুকরা।


ভিজিটিং কার্ডে কি ইনফর্মেশন থাকে?

ভিজিটিং কার্ড যেহেতূ আপনার পরিচয় প্রেজেন্ট করে,তাই ভিজিটিং কার্ডে আপনার নাম,মোবাইল নাম্বার,ইমেইল নাম্বার,ওয়েভ সাইট নাম এবং আপনার ঠিকানা।


ভিজিটিং কার্ড ডিজাইন শিখে আপনার লাভ কি?


ভিজিটিং কার্ড অথবা বিজিনেস কার্ড শিখে আপনি দুই ভাবে লাভ ভান হবেন ।আপনি যদি লোকাল মার্কেটে কাজ করেন তাহলে অবশ্যই  আপনাকে ভিজিটিং কার্ড ডিজাইন জানতে হবে,কারন দৈনিক হাজার হাজার ভিজিটিং কার্ড প্রিন্ট হচ্ছে।আপনি যদি ভিজিটিং কার্ড ডিজাইন না জানেন তাহলে আপনি কিভাবে লোকাল মার্কেটে কাজ করে আয় করবেন।

আর আপনি যদি অনলাইন মার্কেট প্লেসে কাজ করে আয় করতে চান অর্থাৎ আউটসোর্সিং  করে ইনকাম করেতে চান তাহলে,আপনাকে অবশ্যই ভিজিটিং কার্ড ডিজাইন জানতে হবে।
আমার মতে সব চেয়ে সহজে অনলাইন মার্কেট প্লেসে থেকে টাকা ইনকাম করার একমাত্র পথ হল ভিজিটিং কার্ড অথবা বিজিনেস কার্ড ডিজাইন দিয়ে।এটা শিখা সহজ এবং সহজে ইনকাম করা ও সহজ।


কিভাবে ভিবিন্ন মার্কেট প্লেসে ভিজিটিং কার্ড ডিজাইন কাজ করবো এবং তা সাবমিট করবো।তা জানতে হলে ক্লিক করুন।


বিজনেস কার্ডের সাইজ কত?

ভিজিটিং কার্ডের সাইজ বা  বিজিনেস কার্ড সাইজ- ৩.৫*২ ইঞ্চি=সাথে ব্লেড যোগ হবে ৩.৭৫*২.২৫ ইঞ্চি



বিজনেস কার্ডের ব্লেড কি এবং সাইজ কত?

বিজনেস কার্ড প্রিন্ট করার পর যখন তা ৩.৫"*২" ইঞ্চি মাপে কাটা হয় তখন ৩.৫"*২" ইঞ্চি বাহিরে কিছু অংশ থাকে যা কেটে ফেলে দেয়া হয় ।যে অংশ টুকু ফেলে দেয়া হয় তাকে ব্লেড অংশ বলে।

ব্লেডের সাইজ-৩.৫"*২" ইঞ্চি এর সাথে.২৫"*.২৫" ইঞ্চি যোগ করতে হয় যা ৩.৭৫"*২.২৫" ইঞ্চি হয়।নিচের পিকচারটি লক্ষ্য করুন,৩টি কালার একটি ভিজিটিং কার্ডের সেইপ নেয়া হয়ছে এবং গাইড দ্বারা ভাগ ভাগ করে ব্লেড,সেইফ এরিয়া,ও ওয়ার্কিং স্পেস চিনহত করা হয়েছে।এখানে গাড় ছায়ান কালার টি হচ্ছে ব্লেড,যেটি কাটিং করা হয়।



বিজনেস কার্ডের ব্লেড কি এবং সাইজ কত?


তারপর ডুকুমেণ্টকে দুই ভাগে ভাগ করে ডান পাশে #1b2b36 এই কালার কোড দিয়ে একটি সেইপ নেই।এবং তার সাথে,#ffc90a এই কালার কোড দ্বারা আরেকটি ভার্টিক্যাল সেইপ নেই।



বিজনেস কার্ডের ব্লেড কি এবং সাইজ কত?


তারপর,আরেকটি সেইপ নিবেন হরিজেন্টালি এই কালার কোড দ্বারা #1b2b36 ।


বিজনেস কার্ডের ব্লেড কি এবং সাইজ কত?



এই কাল কালারের সেইপে নাম ও টাইটেল থাকবে যা আমি নিচের পিকচার টিতে দেখিয়েছি।




তারপর,ভিজিটিং কার্ডের নিয়ম অনুযায়ি ইনফর্মেশন দিতে হবে।তা আপনারা টেক্স টুলের সাহায্যে যে কোন ফন্ট দ্বারা টাইপ করে নিবেন।





তারপর,আপনি যে কোম্পানিতে কাজ করেন ঐ কোম্পানির লোগো এবং টাইটেল থাকবে।তারপর আপনার ভিজিটিং কার্ড ডিজাইন প্রায় শেষ।


বিজনেস কার্ডের ব্লেড কি এবং সাইজ কত?


এই কমপ্লিট করা ভিজিটিং কার্ডের ডিজাইন টি কে মোকাপ ব্যবহার করে দেখে নিতে পারেন যে আপনার ডিজাইন করা কার্ডটি প্রিন্ট করার পর কি রকম দেখাবে।এই আরটিক্যাল টির প্রথমে যে ভিজিটিং কার্ডটি দেখেছেন তা হবে আপনার ডিজাইন করার পর যখন প্রিন্ট করবেন তার মত।নিচের ডিজাইন ব্লেড অংশ টি বাদ দিয়ে সিলেক্ট করবেন।তারপর,shift+ctrl+c দ্বারা কপি করবেন।এই কপি টি মোকাপ দিয়ে দিবেন।





এভাবে ই একটি সুন্দর ভিজিটিং কার্ড  ডিজাইন তৈরি করা হয়।যারা এই ভিজিটিং কার্ড টির মত ব্যানার ডিজাইন করতে চান তারা উপরের সব গুলো নিয়ম ফলো করতে পারেন।



অথবা আমার এই কাজটির একটি টিউটোরিয়াল আছে আপনারা ভিজিটিং কার্ড ডিজাইন টিউটোরিয়াল টি দেখলে আরো সহজে এই ডিজাইন টি করতে পারবেন,আমি আশা করি।







আশা করি আপনারা  ভিজিটিং কার্ড ডিজাইন ডিজাইন কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। ভুল হলে কমেন্ট করে জানাবেন। কারন আমি নিজে এখন ও শিখি ভুল গুলো ধরে দিলে আমার জন্য খুব ভাল হবে। এবং বেশি খারাপ লাগলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।

ভাল থাকবেন। দোয়া করবেন যেন সামনে আরো ভাল ভাল বিষয় আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে পারি।

Saturday, March 31, 2018

নতুনদের জন্য, ডিজাইন কি? গ্রাফিক ডিজাইন কী? গ্রাফিক ডিজাইনে অ্যাডবি ফটোশপ ।এসো ডিজাইন শিখি



 ডিজাইন,  গ্রাফিক ডিজাইন
নতুনদের জন্য, ডিজাইন কি? গ্রাফিক ডিজাইন কী? গ্রাফিক ডিজাইনে  অ্যাডবি ফটোশপ



নতুনদের জন্য  গ্রাফিক ডিজাইন এবং এডোবি ফটোশপ  আলোচনায় সবাইকে স্বাগতমযেহেতু এটা গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে আলোচনা তাই আমরা সরাসরি  অ্যাডবি ফটোশপ সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনায় না গিয়ে গ্রাফিক ডিজাইনের  একদম বেসিক কিছু  বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো
– ডিজাইন কি?
– 
গ্রাফিক ডিজাইন কী?
– 
গ্রাফিক ডিজাইনে  অ্যাডবি ফটোশপ ।

ডিজাইন কি?
ডিজাইন অর্থ নকশা বা আর্ট। ডিজাইন হচ্ছে কোনো নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের উপর বস্তুর পরিকল্পিত অবস্থান। অর্থাৎ আপনি যা নকশা করতে চান,যার উপর করতে চান,যে বস্তুর দ্বার নকশা করতে চান তা সম্পর্কে ধারনা।
বইয়ের ভাষায়, একটি ছবির সমাপ্তিকরণে ক্ষেত্রে যে নির্দেশকের ভূমিকা পালন করে যে নকশা বা আর্ট করা হয় তাকেই বলা হয়  ডিজাইন।মূলত নকশা তৈরীর মূল সূত্র সমূহ সঠিক ভাবে ব্যবহার করার মাধ্যমে একটি সঠিক ডিজাইনের জন্ম হয়।সংক্ষেপে বলা যায় কোনো সৃজনশীল কর্মের প্রাথমিক কাঠামোই হচ্ছে ডিজাইন

ডিজাইন করতে  ধরনের জিনিস প্রয়োজন হয়।
১। এলিমেন্টস (element)
২। ইকুইপমেন্ট (equipment)

এলিমেন্টস অফ ডিজাইনঃ
1. 
লাইন (Lines)  
2. 
শেইপ (Shapes)
3. 
কালার (Colors)
4. 
ফন্ট  (Textures)
5. 
জায়গা (Spaces)

ইকুইপমেন্ট অফ ডিজাইন:
1. 
পেন্সিল (Pencil)
2. 
রাবার (Rubber)
3. 
স্কেল  (Ruler)
প্রিন্সিপল অফ ডিজাইন:
– Rhythm
– Proportion
– Perspective
– Emphasis
– Movement
– Pattern
– Balance
– Unity


গ্রাফিক ডিজাইন কী?
– 
গ্রাফিক শব্দটি জার্মান শব্দ গ্রাফিক হতে এসেছে। এর অর্থ চিত্র বা রুপরেখা।
– 
গ্রাফ শব্দের অর্থ চিত্র এবং ডিজাইন অর্থ নকশা।
– 
সহজ ভাষায়চিত্র দ্বারা নকশা তৈরি করা বা করার প্রক্রিয়াকে বলে গ্রাফিক ডিজাইন।    অন্য কথায়ড্রইং ছবি বা কোনো ইমেজ এবং অক্ষর শিল্পই হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন।


– 
উদাহরন – ইলাস্ট্রেশনব্রান্ডিংবুক কভারটাইপোগ্রাফিব্রশিওরস্টিকারবিজ্ঞাপনসিডি কভারডিজিটাল সাইনক্যলেন্ডারমডার্ণ পেইন্টিংওয়েব ডিজাইনসফটওয়্যার ডিজাইনটেক্সটাইল ডিজাইন ইত্যাদি

গ্রাফিক ডিজাইনে Adobe Photoshop এর ব্যবহার:

1.অ্যাডবি ফটোশপ হচ্ছে একদরনের রাস্টার গ্রাফিক ইডিটর।
2.
অ্যাডবি ফটোশপ হচ্ছে ছবি ইডেটিং সোফট্যায়ার ।যা  ওয়েভ ডিজাইন এবং যে কোন ধরনের প্রোজেক্টের জন্য।
3.ইহা সাধারনত নতুন লে-আউট ডিজাইন নিয়ে কাজ করে।যেমন,পোস্টার দিজাইন,বিজনেস কার্ড।



আশা করি আপনারা ডিজাইন কি? গ্রাফিক ডিজাইন কী? গ্রাফিক ডিজাইনে  অ্যাডবি ফটোশপ  বুঝতে পেরেছেন। ভুল হলে কমেন্ট করে জানাবেন।কারন আমি নিজে এখন ও শিখি ভুল গুলো ধরে দিলে আমার জন্য খুব ভাল হবে। এবং বেশি খারাপ লাগলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।



ভাল থাকবেন। দোয়া করবেন যেন সামনে আরো ভাল ভাল বিষয় আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে পারি।
 ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

Friday, March 30, 2018

নিজের ফেইসবুক কভার ফটো কিভাবে ডিজাইন করা যায় অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে।এসো ডিজাইন শিখি

ফেইসবুক কভার ফটো ডিজাইন
ফেইসবুক কভার ফটো ডিজাইন 



হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন  আছেন,আশা করি ভাল।

আজ আমি সোসাইল মেডিয়ার জনপ্রিয় ফেইসবুক নিয়ে কথা বলবো।নিজের ফেইসবুক কভার ইমেজ কিভাবে ডিজাইন করা যায় অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে তা  নিয়ে আলোচনা করবো।

এটি আমার ফেইসবুক কভার ফটো ডিজাইন নিয়ে দ্বিতীয় টিউটোরিয়াল।তাই যা আগের আরটিক্যালটি পড়েননি তারা দয়া করে পড়ে নিবেন।আমি নিচে লিংক টা দিয়ে দিচ্ছি।

কিভাবে নিজের ফেইসবুকের কভার ফটো বা টাইমলাইন কে প্রোফেশনাল লোক দিবেন অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে।এসো ডিজাইন শিখি


 অনেক বন্দুরা আছেন যারা ফেইসবুক টাইমলাইন অথবা ফেইসবুক কভার ফটো বলে থাকেন।মূলত দুইটি একিই বিষয়।
মূলত যারা প্রফেশনাল ফেইসবুক কভার ইমেজ দ্বারা  নিজেকে প্রফেশনাল বা নিজের প্রতিস্টান  কে ভাল  ভাবে সোসাইল মেডিয়া  রিপ্রেজেন্ট  বা প্রোমট করতে চান।তাদের জন্য একটি ভাল ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন  ডিজাইন খুবই দরকার।


ফেইসবুক কি?

এই আধুনিক সমাজে বিশ্বের এই প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সহজে যোগাযোগ করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফেইসবুক।যা আমাদের কে এই আধুনিক সভ্যতায় অভসর সময় কাটানু,বিনদন,কমিউনিকেশন ব্যবস্থা ইত্যাদি সহজ করে দিয়েছে ফেইসবুক।
বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুক। এটি আমাদের বিনোদনের মাধ্যমও বটে।


ফেইসবুক কভার ফটো কি?

ফেসবুক প্রোফাইলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে ফেইসবকের কভার ফটো। কভার ফটোটির বিস্তৃতি ফেইসবুকের উপরের সম্পূর্ণ জায়গা জুড়ে। ব্যবহারকারী তার  প্রোফাইলের ছবির পিছনে বিস্তৃতি সম্পূর্ণ জায়গা জুড়ে যে জায়গা টি আছে তাকে ফেইসবুক কভার ফটো বা টাইমলাইন বলে।

কেন ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন দরকার?

মূলত যারা সোসাইল মিডিয়াতে নিজেকে ভাল ভাবে রিপ্রেসেন্ট করতে চান অথবা যারা  ফেইসবুক কভার ফটো দ্বারা  নিজেকে প্রফেশনাল(অন্যের চেয়ে একটু আলাদা দেখতে চান)  বা নিজের প্রতিস্টান কে ভাল  ভাবে সোসাইল মেডিয়ায়  প্রেজেন্ট করতে চান তাদের জন্য ফেইসবক কভার ফটো খুবিই গুরুত্বপূর্ন।আজকাল প্রায় সবাই  ফেইসবুক আকাউন্ট আছে এবং সবাই এই ভার্চোয়াল জগতে আকটিভ থাকার জন্য তাদের  ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন ভাল ভাবে উপস্থাপন করে থাকেন।তাই  ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন ডিজাইন খুবই প্রয়োজন।



ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন সাইজ কত?

ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন সাইজ সাইজ  ৮৫১*৩১৫ পিক্সেল,300 রেজুলেশন,CMYK mode,


ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইন ডিজাইন-

প্রথমে একটি নতুন ডুকমেন্ট ওপেন করি (ctrl+n) এবং যাতে ফেইসবুক কভার ফটো বা  টাইমলাইনের সাইজ  ৮৫১*৩১৫ পিক্সেল,৭২ রেজুলেশন,RGB mode, দিতে হবে।তারপর নিচের ছবিটির মত ওয়ার্কস্পেস আসবে।





তারপর নিচের কেনভাস টা কে দুই ভাগ করে এক ভাগে এক কালার ও অন্য ভাগে অন্য কালার দিয়ে দুইটি সেইপ তৈরি করতে হবে।এটা দুই ভাবে করা যায়, ১/ দুইটি লেয়ার নিয়ে এই কাজটি করা যায়,২/ দুইটি রেকটেংগেল টুল দিয়ে করা যায়।আপনারা কালার আপনাদের মত করে দিয়ে নিবেন।




তারপর রেকট্যাংগেল টুল দিয়ে ৩টি লম্বা সেইপ নিতে হবে এবং সব গুলোকে এক টার উপর একটা রেখতে হবে।এবং ৩টি সেইপ কে ২৫ ডিগ্রী অ্যাঙ্গেলে রাখতে হবে।




তারপর ডান পাশের সেইপের উপর একটি ছবি কে ক্লিপিং মাস্ক করে নিতে হবে।ক্লিপিং মাস্ক কিভাবে করবেন?
যেই সেইপের উপর ক্লিপিং মাস্ক ।সেই সেইপের উপর একটি ছবি রেখে,সেইপ ও ছবি দুইটা কে সেলেক্ট করে মাউসের রাইট বাটনে ক্লিক করে ক্লিপিং মাস্ক করতে হয়।





তারপর,নিচের ছবিটির মত করে একটি সেইপ নিতে হবে।




সেইপটির উপর নিজের নাম এবং একটি টাইটেল দিতে হবে।নিচের ছবি টি লক্ষ্য করুন।এবং বাম পাশে ফেইসবুকের প্রোফাইল পিকচারের জন্য একটি ৩০০*৩০০ পিক্সেলের একটি সেইপ নিয়ে তাতে একটি ছবিকে ক্লিপিং মাস্ক করে নিতে হবে।





তারপর,আপনি নিজের ফেইসবুক কে প্রোমট করতে হলে আপনাকে কিছু সাব টাইটেল লিখতে হবে।কন্টাক্ট ইনফর্মেশন দিতে হবে।নিচের ছবিটি একবার লক্ষ্য করুন।




শর্বশেষ আপনি যখন দিজাইনটি কোমপ্লিট করবেন।তারপর ফেইসবুকে যখন ডিজাইন টি আপলোড করবেন তখন আপনার ফেইসবুকের কভার ফটো টি দেখতে নিচের পিকচার টির মত দেখাবে।






এভাবে ই ফেইসবুক কভার ফটো  ডিজাইন করা হয়।যারা এই ফেইসবুক কভার ফটো  ডিজাইন এর মত ডিজাইন করতে চান তারা উপরের সব গুলো নিয়ম ফলো করতে পারেন।

অথবা আমার এই কাজটির একটি টিউটোরিয়াল আছে আপনারা ফেইসবুক কভার ফটো  ডিজাইন টিউটোরিয়াল টি দেখলে আরো সহজে এই ডিজাইন টি করতে পারবেন,আমি আশা করি।

নিচে আমি ফেইসবুক কভার ফটো  ডিজাইন ডিজাইন টিউটোরিয়াল ভিডিও লিংক দিয়ে দিচ্ছি-




আশা করি আপনারা ফেইসবুক কভার ফটো  ডিজাইন কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। ভুল হলে কমেন্ট করে জানাবেন। কারন আমি নিজে এখন ও শিখি ভুল গুলো ধরে দিলে আমার জন্য খুব ভাল হবে। এবং বেশি খারাপ লাগলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।

ভাল থাকবেন। দোয়া করবেন যেন সামনে আরো ভাল ভাল বিষয় আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে পারি।